Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:25 pm

গাঁদার কদর…

গাঁদার কদর শুধু ফুলে সীমিত নয়, এটি ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবেও সমাদৃত। এর ফুল, পাতা ও গাছের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এর পাতা সুগন্ধিযুক্ত হওয়ায় বিশেষ ধরনের চা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সর্দি সারাতে এ গাছের রস উপকারী। আরও কিছু ঔষধি গুণ দেখে নিতে পারেন:

#  অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খেলে অথবা অনেকক্ষণ উপবাসের পর স্নেহজাতীয় খাবার খাওয়ার পর অজীর্ণ দেখা দিতে পারে। এ সময় গাঁদা পাতার রস বেশ কাজে আসে। এ পাতার দেড় থেকে দুই চা চামচ রস সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দুবার খেলে সমস্যা দূর হয়ে যায়

#  হঠাৎ রক্তবমি বা মলমূত্রের সঙ্গে রক্ত পড়া শুরু করলে এক চা চামচ গাঁদা পাতার রস গরম করার পর ঠাণ্ডা করে নিয়ে খেতে হবে। এতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়

#  কোনো কারণে চোখ লাল হলে গাঁদা ফুলের রস চোখে দিলে ঠিক হয়ে যায়

#  ফোঁড়া পাকছে না বা শক্ত হয়ে থাকলে গাঁদা পাতা বেটে ওই স্থানে লাগাতে পারেন ফোঁড়া দ্রুত পেকে যাবে, যন্ত্রণাও কমবে

#  শরীরে পাঁচড়া হলে ফুলের রস আধা চামচ করে দুই থেকে চার দিন দুবার করে খেতে পারেন। একই সঙ্গে শরীরেও লাগালেও পাঁচড়া সেরে যাবে

#  কোথাও কেটে গেলে বা আঘাতপ্রাপ্ত স্থান ফুলে গেলে এ পাতার রস লাগালে উপকার পাওয়া যায়

#  ফুলের নির্যাস টিউমারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে

#  রোদে পোড়া ত্বকে এ ফুলের রস লাগালে কিছুক্ষণের মধ্যে জ্বালা ভাব দূর হয়। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি থাকায় এটি ব্রণ সারাতে বেশ কার্যকর

#  গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁদা ফুলে লুটেইন জিয়াক্সান্থিন রয়েছে, যা চোখের রেটিনা ভালো রাখে ও দৃষ্টিশক্তি সঠিক রাখতে সহায়তা করে

#  ফুলের পাঁপড়ি পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি দিয়ে চা তৈরি করে খেলে মুখ ও পাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধ হয়

#  জমিতে গাঁদা গাছের শুকনো গুঁড়ো ছিটিয়ে দিলে নেমাটোডের মতো মারাত্মক রোগের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়

#  নানা ধরনের তেল ও সুগন্ধি তৈরিতে গাঁদা ফুল ব্যবহার করা হয়।