গাংনীতে মামলা জটিলতায় গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী (মেহেরপুর): দীর্ঘদিন ধরে মামলা জটিলতায় আটকে আছে মেহেরপুরের গাংনীতে গৃহনির্মাণ প্রকল্পের ২০টি ঘর। পরিবারগুলোর অভিযোগ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২০টি ঘর আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে আজও বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সুরাহা না হলে তাদের কিছুই করার নেই।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মেহেরপুরের গাংনীর মটমুড়া ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামের এক নম্বর খতিয়ানের ৫৯২০নং দাগে ১৭টি এবং ষোলটাকা ইউপির কাষ্টদহ গ্রামের তিনটি পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে কাষ্টদহ গ্রামের তিনটি ঘর নির্মাণ ৮০ শতাংশ শেষ হওয়ার সময় স্থানীয় এক প্রভাবশালী আদালতে মামলা করায় সেগুলোর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে মোহাম্মদপুরের ১৭টি ঘর নির্মাণকাজ সমাপ্তির পর বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার সময় বাঁধার মুখে পড়েন প্রশাসন। গ্রামের প্রভাবশালী সাবেক সেনাসদস্য আবুল হোসেন মিলিটারি এক নম্বর খতিয়ানের ৫৯২০ দাগের জমি তার নিজের বলে দাবি করে আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলায় স্থগিতাদেশ দিলে নির্মাণকৃত ঘর গৃহহীনদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেনি। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ টাকা।

এদিকে নির্মাণ করার পর ঘরগুলোতে কেউ বাস না করায় ঘরের অনেক মূল্যবান সামগ্রী চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। স্থানীয় মাদকসেবীদের আড্ডাখানা ছাড়াও চোর ডাকাতের আবাসস্থল হিসেবে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া গৃহহীনদের নামে বরাদ্দ হলেও তারা ঘর না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নির্মাণ করার পর ঘরগুলোতে কেউ বাস না করায় ঘরের অনেক মূল্যবানসামগ্রী চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। স্থানীয় মাদকসেবীদের আড্ডাখানা ছাড়াও চোর-ডাকাতের আবাসস্থল হিসেবে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া গৃহহীনদের নামে বরাদ্দ হলেও তারা ঘর না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

আবুল হোসেন মিলিটারি জানান, ভূমি অফিস এ জমিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করায় আদালতে মামলা করা হয়। মামলাপ্রাপ্ত হয়ে আদালত স্থগিতাদেশ দেন। বরাদ্দপ্রাপ্ত কোনো পরিবারকে হুমকি-ধমকি দেয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, পৈতৃক সম্পত্তিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফসল ফলিয়েছেন। লকডাউনের সময় হঠাৎ করে জোরপূর্বক প্রশাসন জায়গা দখল করে ঘর তৈরি করা চেষ্টা করে। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ আর লাগাতে দেয়া হয়নি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা বলেন, মামলা জটিলতায় গৃহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া আটকে গেছে। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের কিছুই করার নেই।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০