গাইবান্ধায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে আজ শনিবার স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে দোয়া, আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর প্রতীক (অব:) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: রকিবুর রহমান।

অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যাণ সংস্থা গাইবান্ধা শাখার সভাপতি মো: শাহাদত হোসেন সাজুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের উপদেষ্টা পেটি অফিসার মো: এনামুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পৌর মেয়র মো. মতলুবর রহমান, সাবেক মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার রফিউদ দৌলা, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. আইয়ুব আলী, সাবেক পেটি অফিসার মো. এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় চেতনা ও সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে জনতার আত্মপ্রকাশের সঙ্গে একীভুত করে দেখা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিক ও দেশ প্রেমিক সদস্যরা দ্রুত নিজেদের সুসংগঠিত করে সারাদেশকে বিভক্ত করা হয় ১১টি সেক্টরে। উন্মুক্ত হয় বিজয়ের পথ। এই আক্রমণে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সফলতা লাভ করে জলে, স্থলে ও অন্তরীক্ষে। তারা বাধ্য হয় পশ্চাৎপস্মরণে। এই ছিল সুশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনীর বিজয়ের ইতিহাস। তারপর মিত্রবাহিনীর সহযোগে ঘোষিত হয় সার্বিক যুক্ত। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে চুড়ান্ত বিজয়। প্রকৃত পক্ষে এ বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সম্মিলিত আক্রমণের মাধ্যমে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০