গাজায় এক বছরে ২৮ হাজার শিশু ও নারী নিহত

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাসের হামলা এবং গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলার এক বছর পূর্তি ছিল গত সোমবার। গত বছরের ৭ অক্টোবর দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ এখনও চলছে। এমনকি বিস্তৃত হয়েছে লেবাননসহ আরও কয়েকটি ফ্রন্টে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী এলাকায় নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ৩০০ সেনাসহ প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। গাজায় বন্দী করে নিয়ে আসে প্রায় ২৫০ জনকে।
হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক বছরে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪১ হাজার ৮৭০ জন। জনসংখ্যার হিসেবে গাজার প্রতি ৫৫ জনের একজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহত ব্যক্তিদের ৬৯ ভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশু ২৮ হাজার ১০২ জন। শিশু ১৬ হাজার ৭৫৬ জন। আর নারী ১১ হাজার ৩৪৬ জন। এই এক বছরে ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৯৭ হাজার ১৬৬ ফিলিস্তিনি। গাজার মোট জনসংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের হামলায় প্রতি ২৩ জনের একজন আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, শুধু হাসপাতালে আসা হতাহত ব্যক্তিদের ভিত্তিতেই গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর বিরামহীন হামলার কারণে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অনেক মরদেহ হাসপাতাল পর্যন্ত আসেনি। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে ১০ হাজারের বেশি মরদেহ পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা এবং পর্যাপ্ত উদ্ধার সরঞ্জাম না থাকায় এসব মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে বেশি জোর দিচ্ছেন।

এদিকে কয়েকটি হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের পর গত এক বছরে সাতটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এসব গণকবরে ৫২০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। গত এক বছরে গাজা উপত্যকায় ৪০ হাজারের বেশি স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, একই সময় ৪ হাজার ৭০০ সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০