শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় খাবার, পানি, ওষুধের মতো জরুরি ত্রাণের বহর ঢোকার অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল। গাজায় মানবিক সহায়তা দিতে আমেরিকার দাবি মেনে নেয়ার কথা জানায় দেশটি। খবর: জেরুজালেম পোস্ট।
বাইডেনের তেল আবিব সফর শেষে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দাবির আলোকে ইসরাইল দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় বেসামরিক জনগণের জন্য মিসর থেকে খাদ্য, পানি ও ওষুধের মতো মানবিক সহায়তায় বাধা দেয়া হবে না।
তবে দেশটি সতর্ক করে বলেছে, হামাসের কাছে এ সরবরাহ পৌঁছালে অনুমতি প্রত্যাহার করা হবে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, যুদ্ধ প্রচেষ্টায় আমেরিকার বিপুল ও গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মৌলিক মানবিক সহায়তার দাবির আলোকে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জোর দিয়ে বলেছিল, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলিকে জিম্মি করে রাখবে ততক্ষণ পর্যন্ত গাজায় সহায়তা ঢুকতে দেয়া হবে না।
গাজা উপত্যকা থেকে বের হওয়ার জন্য দুটি স্থলপথ রয়েছে। এর একটি হলো রাফাহ ক্রসিং, পথটি মিসরের নিয়ন্ত্রণে। এর আগে স্পষ্ট শর্ত ও গ্যারান্টি ছাড়া ক্রসিংটি খোলার ব্যাপারে অনীহা জানায় মিসর।
জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ বলেছেন, মিসরের কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার বাসিন্দাদের বড় ঢলের আশঙ্কা করছে। এছাড়া গাজা থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে চায় না মিসর।
আজ শুক্রবার মিসরের সিনাই উপদ্বীপ থেকে মানবিক সহায়তা বহনকারী প্রায় ২০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসির সঙ্গে কথা বলেছি। রাফাহ স্থল বন্দর পুনরায় চালু করতে রাজি হয়েছেন তিনি। বাইডেন আরও বলেন, ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে হবে। তবে শুক্রবার নাগাদ ওই ত্রাণ পৌঁছানো শুরু হতে পারে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার পর বাইডেন বলেছেন, রাফাহ স্থল বন্দর দিয়ে প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল। হামাস যদি এই সহায়তা সরিয়ে নেয় বা চুরি করে, তবে তারা প্রমাণ করবে যে, ফিলিস্তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। হামাস এমন কিছু করলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহযোগিতা সরবরাহ বন্ধ করবে।
ত্রাণের এই চালানই শেষ নয়। আরও ১৫০ ট্রাক অপেক্ষা করছে। হামাস ঝামেলা করলে এগুলো গাজায় পাঠানো হবে না।