শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হাজার ১২৮ জন হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: আল জাজিরা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। জবাবে সেদিন থেকে ভূখণ্ডটিতে লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ৪৯ দিন ধরে এই হামলা চলছে।
হামাস বলেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ হাজার ৮৪০টি শিশু এবং ৩ হাজার ৯২০ নারী রয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন ৩৩ হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, প্রতিদিন গাজা উপত্যকায় ১৬০টির মতো শিশু নিহত হচ্ছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ আশঙ্কা করছে, নিহত শিশুর সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে।
ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, গাজার শিশুরা যদি প্রয়োজনমতো পানি না পায় এবং সেখানকার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা যদি সীমাবদ্ধ ও অপর্যাপ্ত হয়, তবে আমরা এমন এক মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে পড়ব, যা একেবারেই এড়ানো যাবে না। আর তা হলো শিশুদের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যাবে। জরুরি পরিস্থিতিতে পান করা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং রান্নাবান্নার জন্য একজন মানুষের প্রতিদিন ন্যূনতম ১৫ লিটার পানি প্রয়োজন। তবে গাজার কিছু জায়গায় একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন গড়ে তিন লিটার পানি পাওয়া যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো দিন একেবারে পানি পাওয়া যায় না।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, উপত্যকায় তীব্র লড়াই চলার কারণে ঠিকমতো মৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারের কাজ চালানো যাচ্ছে না। এ কারণে তারা এখন আর নিহত হওয়ার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারছে না।
জাতিসংঘ গত মঙ্গলবার বলেছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থার ওপর হামলা ও গণহারে বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি গাজায় জ্বালানি ঘাটতি, পানির অভাব ও নাজুক পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে শোচনীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৭ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে প্রায় ৯ লাখ মানুষ জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক ত্রাণ ও সহায়তা কার্যক্রম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় অত্যন্ত গাদাগাদি করে থাকছেন।
এদিকে সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) জানিয়েছে, গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত দেড় মাসের বেশি সময়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী।