শেয়ার বিজ ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এরই মধ্যে স্থল অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস দাবি করেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ের সম্মুখীন হচ্ছে তারা। খবর: বিবিসি ও আল জাজিরা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় তাদের আকাশ ও স্থল হামলার বিস্তৃতি ঘটানোর পর হামাস বলেছে, ‘পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে শত্রুর হামলা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত তারা। এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাস-শাসিত গাজায় আক্রমণ আরও তীব্র করেছে। এরপর হামাস জানায়, সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকাগুলোয় তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে হামাসের সামরিক শাখা কাশেম ব্রিগেডস বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর গাজার বেইত হানুন ও বুরেজের কাছে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। এ নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা ও নাগরিকদের জিম্মি করার জেরে গাজায় স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। হামাসের হামলায় এক হাজার চারশর বেশি ইসরায়েলি প্রাণ হারান। পাশাপাশি প্রায় ২০০ ইসরায়েলিকে ধরে গাজায় নিয়ে বন্দি করে রেখেছেন হামাস যোদ্ধারা। এরপর উপত্যকায় বিমান হামলায় নামে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ২১ দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাত হাজার তিনশর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, আল কাসাম বিগ্রেডস ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীগুলো ইসরায়েলি আগ্রাসন পূর্ণ শক্তি দিয়ে মোকাবিলার জন্য এবং তাদের অনুপ্রবেশকে ব্যর্থ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার পরাজিত সেনাবাহিনী কোনো সামরিক বিজয় অর্জনে সক্ষম হবে না। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, গত কিছুদিন ধরে চালানো হামলার পাশাপাশি আজ রাতে স্থলবাহিনী বিস্তৃত পরিসরে তাদের অভিযান শুরু করছে। বিগত দিনগুলোর চেয়ে শুক্রবার রাতে বিমান হামলা সবচেয়ে জোরালো ছিল। রাতে আল জাজিরায় সম্প্রচারিত লাইফ ফুটেজে গাজায় মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা যায়। গাজা ভূখণ্ডের প্রধান হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বিমানগুলো হামলা চালিয়েছে বলে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে। তবে গাজার আল শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলার এ খবর নিশ্চিত করতে পারেনি। হামাস হাসপাতালটিকে তাদের টানেল ও অভিযান কেন্দ্রগুলোর জন্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর। হামাস এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।