শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় চলা আলোচনা গত শুক্রবার স্থগিত হয়ে গেছে। তবে মধ্যস্থতাকারীরা আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আবার আলোচনায় বসবেন। এ প্রক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের অবসান এবং অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে চুক্তি সইয়ের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। খবর: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ওয়াশিংটন যুদ্ধবিরতি নিয়ে এক নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। এতে সমঝোতার কিছু পয়েন্ট রয়েছে এবং এটি মতপার্থক্য কমিয়ে এনেছে, যা দ্রুত কোনো চুক্তি কার্যকর করতে পারে। মধ্যস্থতাকারীরা বলেছেন, এ প্রস্তাব নিয়ে কাজ করে যাবেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচনা এখন ফলাফল বেরিয়ে আসা, মানুষের জীবন রক্ষা করা, গাজার মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনা ও আঞ্চলিক উত্তেজনা কমিয়ে আনার পর্যায়ে রয়েছে। গাজায় যুদ্ধের অবসানে গত বৃহস্পতিবার সাম্প্রতিকতম দফার আলোচনা শুরু করেন ইসরায়েল ও অন্য দেশগুলোর মধ্যস্থতাকারীরা। গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এ যুদ্ধে গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস চলতি আলোচনায় সরাসরি অংশ না নিলেও আলোচনার বিষয়বস্তু ও অগ্রগতি নিয়ে অবগত করা হচ্ছে তাদের।
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইজ্জাত আল রিশককে মধ্যস্থতাকারীরা যা বলেছিলেন, সে বিষয়ের কথা উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ইসরায়েল আগের আলোচনায় সম্মত হওয়া বিষয় মেনে চলেনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন তা চুক্তি সইয়ের ‘খুব, খুব কাছাকাছি’ পৌঁছেছে।
বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিকতম মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা কয়েক মাসের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে।
এটি সম্পন্ন করার আশা নিয়ে আগামী সপ্তাহে কায়রোয় আবার টেবিলে বসবেন মধ্যস্থতাকারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের আরও বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় আলোচনাকারীরা সবাই মতৈক্যে পৌঁছেছেন। এখন এ আলোচনার ইতি টানতে সত্যিকার অর্থেই নতুন উদ্যোম দেখা যাচ্ছে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা যথেষ্ট ক্ষমতাবান। বেশ কিছু বিষয়ে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি।