Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 7:04 pm

গাজায় যুদ্ধ ঘিরে লাভজনক ব্যবসা

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা ছেড়ে পালিয়ে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। মিসরের সঙ্গে রাফাহ বর্ডার ক্রসিং দিয়ে বের হওয়ার জন্য দালাল নেটওয়ার্ককে হাজার হাজার ডলার দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। খবর: আল জাজিরা।

হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর। ইসরায়েল ছাড়া গাজা থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায় মিসর সীমান্তের সঙ্গে রাফাহ বর্ডার ক্রসিং। যুদ্ধ শুরুর পর কায়রো এই ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। ফলে গাজার ফিলিস্তিনিদের কোথাও যাওয়ার উপায় থাকে না।

আল জাজিরার সাংবাদিক জেইন বসরাভি জানিয়েছেন, রাফাহ ক্রসিংয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য ইসরায়েল ও মিসর উভয়কেই দায়ী করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অসহায়ত্ব এক দল ‘যুদ্ধের মুনাফালোভীদের জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে।’

দালালদের এই ব্যবসার কারণে অল্পসংখ্যক ফিলিস্তিনিরাই রাফাহ বর্ডার ক্রসিং দিয়ে গাজা ছাড়তে পেরেছে। এর সঙ্গে মিসরীয় গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগও উঠেছে।

জাতিসংঘের মতে, গাজার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ এখন বাস্তুচ্যুত। ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলার কারণে বেশিরভাগ মানুষ দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

রাফাহ ক্রসিং নিয়ে খবর প্রকাশ করে এমন ফেসবুক পেজগুলো ফিলিস্তিনিদের বর্ডার ক্রসিংয়ে সাহায্য চাওয়ার বিষয়ক পোস্টে ভরে গেছে।

সিনাই উপদ্বীপ বিশেষজ্ঞ মোহান্নাদ সাবরি বলেছেন, দালালরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিকে টার্গেট করছে। কোনো পরিবারের কেউ যদি আহত বা অসুস্থ থাকেন, তাহলে তাদের পক্ষে অপেক্ষা করার উপায় নেই, এরাই দালালদের উপযুক্ত টার্গেট। তাদের চাপ দিয়ে ইচ্ছামতো অর্থ আদায় করা সম্ভব হয়। পরিবারগুলোও যেভাবে পারে অর্থের জোগাড় করে। এটি একটি চক্র।

চলতি মাসের শুরুর দিকে দ্য গার্ডিয়ানের এক অনুসন্ধান অনুসারে, গাজা ছাড়তে মরিয়া ফিলিস্তিনিরা দালালদের ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এই অর্থের বিনিময়ে দালালরা তাদের মিসর হয়ে গাজা থেকে বেরিয়ে যেতে সহায়তা করবে। অথচ যুদ্ধ শুরুর আগে কায়রোভিত্তিক চক্রটি মাত্র ৫০০ ডলার নিত।