শেয়ার বিজ ডেস্ক: গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু এবং নারীও রয়েছেন। এছাড়া প্রবল খাদ্যসংকটের পথে এগোচ্ছে গাজা। তারই মধ্যে খানিকটা স্বস্তির খবর হলো, শিশুদের টিকা ঢোকার অনুমতি পেয়েছে। খবর: ডয়চে ভেলে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, অন্তত ৬ লাখ টিকা গাজায় ঢুকেছে। এর মধ্যে পোলিও জাতীয় রোগের টিকাও রয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই টিকা পশ্চিম তীর থেকে কিনেছে। এরপর জাতিসংঘের মাধ্যমে তা গাজায় পাঠানো হচ্ছে। রুবেলা, মাম্পসের মতো রোগের টিকাও রয়েছে এর মধ্যে।
তবে টিকা দেয়া সহজ নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি ছেড়ে ক্যাম্পে গিয়ে বসবাস করছেন। ফলে কোনো অঞ্চলে এর আগে কত টিকা দেয়া হয়েছে, সেই হিসাব এখন পাওয়া মুশকিল।
এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার সবখানে টিকা নিয়ে পৌঁছানোও এখন প্রায় অসম্ভব। কারণ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল সংঘাত চলছে। গত এক দিনে ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২৪৬।
এদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৯ জন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে গাজা অভিযানে। যার অর্থ, প্রতি ছয়জনে একজন সেনার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনা অথবা নিজেদের ছোড়া গুলি বা বোমায়।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় একই সঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং মর্টার বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে আকাশ থেকে ক্রমাগত বোমা ফেলা হচ্ছে। দূরপাল্লার রকেটও ছোঁড়া হচ্ছে। এরই আঘাতে বেশ কিছু ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। ট্যাঙ্ক থেকে ছোঁড়া গোলার আঘাতেও নিজেদের সেনার মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এমন দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন সেনার।
এদিকে বেশ কিছু সেনাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বলা হয়েছে। যথেষ্ট বিশ্রাম নিয়ে তারা যাতে আবার যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে আসতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র জানিয়েছেন, অভিযান শেষ হতে সময় লাগবে। তাই সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ২০২৪ সালজুড়ে গাজা অভিযান চলবে। হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না।