শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির শর্তে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের এ পর্যায়ে বিরতি দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলে সমর্থকদের সামনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধের বিষয়ে একজন সমর্থকের প্রতিবাদের উত্তরে এ কথা জানান বাইডেন। খবর: আরব নিউজ।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে বাইডেনের জন্য দেশজুড়ে তহবিল সংগ্রহে নেমেছেন তার অনুসারী-সমর্থকরা। মিনোসেটার মিনিয়াপোলিসে এ সংক্রান্ত একটি প্রচারণাসভা ছিল, যেখানে যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ২ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন সেই সভায়।
যুদ্ধ বিরতি প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, আমি মনে করে একটা বিরতি দরকার। বিরতি মানে হলো হামাসের হাতে যারা আটক রয়েছে তাদের মুক্তি দেয়া। আমি সেই মানুষ যে বন্দিদের মুক্তির জন্য এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। গুরুতর আহত ও বিদেশিরা যেন রাফাহ সীমান্ত পার হয়ে গাজায় প্রবেশ করতে পারে সে বিষয়ে আমি মিসরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করেছি।
গাজায় যাতে সাহায্য-সহযোগিতা ঠিকমতো পৌঁছাতে পারে সেজন্য এর আগে যুদ্ধ বিরতির কথা বলেছিল হোয়াইট হাউস।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ২৭তম দিন পার হয়েছে গতকাল। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলছে সহিংসতা। ওই দিন শেষ রাত থেকে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ার পর বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে কয়েকশ হামাস যোদ্ধা এবং শত শত ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের হত্যার পাশপাশি ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় তারা।
জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
দারিদ্র্যপীড়িত এবং জনবহুল গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় এড়ানো ও হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্ত করতে গত তিন সপ্তাহ ধরে সেখানে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছে চীন, রাশিয়া, তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোর পাশাপাশি ইহুদি শাসিত এই ভ‚খণ্ডের শাসকদের আর্থিক, সামরিক, রাজনৈতিক, ক‚টনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে।