শেয়ার বিজ ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক স্টোরিতে মন্তব্যের জের ধরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুই ভাইসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার আড়াল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণগাও চরপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলমের ছেলে ফারুক হোসেন (২৬) ও নাঈম হোসেন (১৮) এবং একই গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে রবিন (২৪)।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নাঈম, রবিন ও ফারুক একই গ্রামের ছেলে। ফারুক রাজমিস্ত্রি এবং রবিন-নাঈম কাপড়ের দোকানে কাজ করে। ফেসবুকের একটি স্টোরিতে মন্তব্য দেওয়া নিয়ে দক্ষিণ গাঁও চরপাড়া গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মনোহরদী এলাকার কয়েকজনের সাথে তাদের ঝামেলা তৈরি হয় । এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী থেকে ১০-১৫ জন ছেলে ও একজন মেয়ে গ্রামে এসে রবিন ও নাঈমকে ফোন দিয়ে মসজিদের সামনে ডেকে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে তারা নাঈম ও রবিনের পেটে ছুরিকাঘাত করে। এমন সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো ফারুক। পরে ফারুক তাদের বাঁধা দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে কয়েকজন গ্রামবাসী তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই নাঈম ও রবিন মারা যায়। আর ফারুক আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
কাপাসিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রউফ বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত তিনজনকে প্রথমে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। আর রবিনকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। পরে আজ রোববার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনও মামলা দায়ের হয়নি বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, নরসিংদীর মনহরদী উপজেলার জাহিদের স্ত্রী মারিয়া ফেসবুক স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেন। ওই স্টোরিতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নিহত নাইম মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত হয়।