Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 4:30 pm

গাজীপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধি, গাজীপুর: সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান এমপিসহ দুইজনের বিরুদ্ধে গাজীপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি করা হয়েছে ডিজিটাল মিডিয়ার উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ উরফে নাহিদ হেলাল।

বুধবার(২২ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এ্যাড. মনজুর মোর্শেদ প্রিন্স বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গাজীপুরের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মো: কায়সারুল ইসলাম মামলাটি তদন্তের জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন ডিবিতে পাঠিয়েছেন।

মামলার বাদী এ্যাড. মনজুর মোর্শেদ প্রিন্স জানান, ডিজিটাল মিডিয়া উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ উরফে নাহিদ হেলাল গত ১ ডিসেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসানের এক সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন। সেখানে ডা: মুরাদ হাসান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ন, নারী বিদ্বেষী মর্যদা হানীকর ভাষা ব্যবহার করেছে। যা পরবর্তীতে ডা: মুরাদের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে প্রচার করা হয়।

অশালীন মিথ্যাচার, নারী বিদ্বেষী ও নারীর প্রতি এই অবমাননামূলক বক্তব্য নারীর জন্য মর্যদা হানীকর। এছাড়া জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আহত করে মানসম্মান নষ্ট করেছে। বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ফলে সমাজের সর্বমহলে নেতীবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

মূলত উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ও বক্তব্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের পরিবার এবং তার কনিষ্টতম সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে অপমান অপদস্থ ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই ভিডিওটি প্রকাশ হয়। যা সার্বিকভাবে জিয়া পরিবারসহ সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক। অপরদিকে ডা: মুরাদ বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৮ নং অনুচ্ছেদের তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ করেছিলেন, তা ক্রমাগতভাবে নানাবিধ বক্তব্যে এবং কর্মকমান্ডে ইতিমধ্যে লঙ্গন করেছেন। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ৫০৫-ক/৫০৯ ধারার বিধানে সুবিচার পাওয়ার জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার আইনজীবী গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মো: সিদ্দিকুর রহমান জানান, গাজীপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ডিবি তদন্তের জন্য দিয়েছেন। তদন্ত শেষে আদালতের মাধ্যমে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।