নিলামে ইভ্যালির গাড়ি প্রায় তিন কোটি টাকায় বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্ধ হয়ে যাওয়া বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাতটি গাড়ি নিলামে বিক্রি করে প্রায় তিন কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ অর্থ ইভ্যালির গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। ইভ্যালিতে হাইকোর্টের গঠন করে দেয়া পরিচালনা পর্ষদ গতকাল গাড়িগুলো নিলামে তুলেছিল। নিলামের তালিকায় ছিল একটি রেঞ্জ রোভার, একটি টয়োটা প্রায়াস, একটি টয়োটা সিএইচআর, দুটি টয়োটা এক্সিও, একটি হোন্ডা ভেজেল ও একটি টয়োটা মাইক্রোবাস। এসব গাড়ির মোট ন্যূনতম মূল্য ঘোষণা করা হয়েছিল ২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। নিলামে ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা উঠেছে গাড়িগুলোর দাম।

নিলাম শেষে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যা মূল্য পেয়েছি, তাতে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। কারণ ভিত্তি মূল্যের চেয়ে অনেক উপরে পাওয়া গেছে।’ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির কাছে পণ্য সরবরাহকারী ও কয়েক লাখ ক্রেতার পাওনা রয়েছে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করছি ইভ্যালির পুঁজি বাড়ানোর। বাড়ি ভাড়া বাবদ খরচ, কর্মচারীর বেতন, অন্য পাওনাদার আছেন। ক্রেতা, সরবরাহকারীরা পাওনাদার আছেন। পয়সাগুলো ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে যাবে। সব পাওনাদারের জন্য এ পয়সাগুলো। পুঁজি বাড়লে পাওনাদারদের যথাসম্ভব পাওনাগুলো দেয়া যাবে।’

নিলামে রেঞ্জ রোভার গাড়িটি ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়, টয়োটা প্রায়াস ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকায়, টয়োটা সিএইচআর ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকায়, টয়োটা এক্সিও ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়, অন্য এক্সিও ১৫ লাখ টাকায়, হোন্ডা ভেজেল ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় এবং টয়োটা মাইক্রোবাসটি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।

শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এই গাড়িগুলো ইভ্যালির কাজে ব্যবহƒত হতো না। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন। গাড়িগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারতাম, কিন্তু আমরা তা চাইনি।’ ইভ্যালির আরও কিছু গাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছেÑজানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাড়িগুলো পাওয়া গেলে সেগুলোও নিলামে তোলা হতে পারে।’

ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের (এখন কারাগারে) পরিচিতজনরা চারটি গাড়ি ব্যবহার করছেন-বলে জানান শামসুদ্দিন। তিনি বলেণ, ‘বেআইনিভাবে ইভ্যালির গাড়ি আটকে রাখা হয়েছে, যেটা আইনের ভাষায় চুরি। রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। রোববারের মধ্যে যদি না পাই পুলিশের সহযোগিতা নেব।’ নানা প্রতারণার মামলায় রাসেলের পাশাপাশি তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনও কারাগারে আছেন। ইভ্যালির ধানমন্ডির কার্যালয়ে নিলাম শেষে শামসুদ্দিন চৌধুরী আরও জানান, কোম্পানি অডিট করার জন্য ২৭ লাখ টাকায় একটি অডিট ফার্ম পাওয়া গেছে। হাইকোর্টের নির্দেশিত অডিট ফার্ম কাজটি করার জন্য ৮৬ লাখ টাকা চেয়েছিল। কিন্তু এত বেশি টাকায় আমরা কাজটি করাতে চাইনি। এখন ইভ্যালির বোর্ডের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন সাহেব হুদাভাসি নামের আরেকটি অডিট ফার্মের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা ২৭ লাখ টাকায় অডিট করতে রাজি হয়েছেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০