শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপীয় গাড়ি আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়ালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) তার জবাব দেবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর হুমকির পর ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিরকি কাটাইনেন এ মন্তব্য করেছেন। খবর রয়টার্স।
জিরকি কাটাইনেন বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যদি গাড়ি আমদানিতে শুল্ক বাড়ায়, তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া কিছু করার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘টুইটারের মাধ্যমে আমরা উত্তেজনা বাড়াতে আগ্রহী নই। আমাদের উচিত পরিস্থিতি ঘোলা না করা।’
মার্কিন পণ্যে ইইউ পাল্টা শুল্ক কার্যকরের পরই ইউরোপ থেকে আমদানি করা গাড়িতে ২০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ২৫ ও ১০ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় হুইস্কি, মোটরসাইকেল, জুতা, কয়েক ধরনের কাপড়, ওয়াশিং মেশিন ও কমলার রসসহ বেশকিছু পণ্যে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে ইইউ। গত শুক্রবার থেকে তা কার্যকরও হয়েছে। জোটের ২৮টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি করা প্রায় ৩২০ কোটি মূল্যের পণ্য থেকে এই শুল্ক নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে ইউরোপ।
মার্কিন পণ্যে ইইউর শুল্ক কার্যকরের ঘটনাই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। শুক্রবারে টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘এই শুল্ক তুলে নেওয়া না হলে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইউরোপের সব ধরনের গাড়িতে ২০ শতাংশ শুল্ক বসাব।’
আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে কি না, মাসখানেক আগে থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে। আগস্টের আগেই এ কাজ শেষ হবে বলে আশা মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রসের। ইইউ থেকে আমদানি করা ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে এখনই আড়াই শতাংশ শুল্ক দিতে হয়; পিকআপ ট্রাকের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপ করা শুল্কের পরিমাণ মাত্র ১০ শতাংশ।
অভ্যন্তরীণ শিল্পের সুরক্ষা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য দেশের ভেতরেই আরও চাকরির সুযোগ বাড়াতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে চীন থেকে আমদানি করা বাৎসরিক সাড়ে ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যে বসেছে নতুন শুল্ক। পাল্টা পদক্ষেপে হাজারের ওপর মার্কিন পণ্যে শুল্ক দিয়েছে বেইজিংও।