এবার বুঝি নিস্তার মিলবে সড়কের যানজট থেকে। গাড়ি চলবে উড়ে উড়ে! ফলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই পৌঁছানো যাবে গন্তব্যে। এটা স্বপ্ন বা কল্পকাহিনী নয়, বাস্তবে এ ধরনের গাড়ি নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক স্টার্টআপ কোম্পানি উবার। যাতায়াত ব্যবস্থায় ঝামেলা কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছরের শেষ দিকে উবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ট্রাফিক জ্যাম বেশি এমন শহরে ফ্লাইংকার (উড়ুক্কু যান) তৈরিতে আগ্রহী তারা। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সে সময় জানানো হয়, তাদের তৈরি যানটি উল্লম্ফভাবে ওঠানামা করবে। এ যান আকাশে হেলিকপ্টারের মতো উড়বে। তবে শব্দ হবে কম। সহজে চালানো যাবে। একই সঙ্গে এ ধরনের যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণের মাত্রাও হেলিকপ্টারের চেয়ে কম হবে বলে আশাবাদী তারা।
ফ্লাইংকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নাসার সাবেক প্রকৌশলী মার্ক মুরকে নিয়োগ দিয়েছে উবার। মার্ক বর্তমানে উবার এলিভেট বিভাগের এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ার ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে নাসায় উড়ন্ত যানবাহন নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। হয়তো এ কারণে তাকে বেছে নিয়েছে উবার কর্তৃপক্ষ।
ফ্লাইংকার নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে বেশ উচ্ছ্বসিত মার্ক। তিনি বলেন, এটির জন্য সম্ভাব্য প্রযুক্তি হচ্ছে বৈদ্যুতিক পরিচালন ব্যবস্থা। এতে একমাত্র চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বর্তমান ব্যাটারির স্টোরেজ। প্রসঙ্গত চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়িও আনবে উবার। এজন্য ভলভো ও ডেইমলারের সঙ্গে যৌথভাবে বিনিয়োগ করেছে উবার।
উবারের পাশাপাশি উড়ন্ত যান প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে সেøাভাকিয়ার প্রতিষ্ঠান অ্যারো মবিল। এ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যকরী পরীক্ষামূলক সংস্করণ (প্রোটোটাইপ) দেখিয়েছে। আর ২০১৭ সালেই তাদের তৈরি গাড়িগুলো যাত্রীবহন করবে বলে আশাবাদী অ্যারো মবিল।
উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আসছে অ্যারো মবিল। তাদের তৈরি গাড়িটির নাম অ্যারো মবিল থ্রি পয়েন্ট জিরো। সে গাড়িতে রয়েছে উচ্চপ্রযুক্তির ককপিট। একই সঙ্গে ভাঁজ করা যায় এমন ডানা। এ কারণে পার্কিংয়ের কোনো ঝামেলা নেই। টেক অব বা ল্যান্ডিংয়ের জন্য খুব বেশি জায়গাও লাগবে না।