শেয়ার বিজ ডেস্ক: গিনি-বিসাউয়ে একটি সামরিক অভ্যুত্থান নস্যাৎ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো। তিনি এ অভ্যুত্থানকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর ‘অনেক’ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানান প্রেসিডেন্ট। খবর: বিবিসি।
গত মঙ্গলবার দেশটির রাজধানীতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভবনে প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে ক্যাবিনেটের বৈঠক চলছিল। সে সময় সামরিক ও বেসামরিক পোশাক পরে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রবেশ করে অভ্যুত্থানকারীরা। এরপর কয়েকজন সেনা সদস্য দাবি করেন, তারা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নুনো গোমেজকে আটক করেছেন। তবে এমন গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
হামলাকারীদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনার অন্তরালে কী রয়েছে, তা এখনও অস্পষ্ট। গোলাগুলির ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন, সে তথ্য দেননি প্রেসিডেন্ট। তিনি ধারণা করছেন, পরিকল্পিত ও সংগঠিত এ হামলায় মাদক পাচারকারীদের যোগসূত্র থাকতে পারে।
এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট বলেন, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে আমি সুস্থ আছি। পরিস্থিতি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে।
বিবিসি জানায়, অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা সরকারি বাসভবনে হামলা চালায়। ওই সময় প্রেসিডেন্ট এমবালো ও প্রধানমন্ত্রী নুনো গোমেজ বৈঠক করছিলেন। একে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা অ্যাখ্যা দিয়ে এবং নিন্দা জানিয়ে সেনা সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক নেতারা।
হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, বেসামরিক বন্দুকধারীরা গুলি চালালে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ পশ্চিম আফ্রিকার গিনি-বিসাউ। এখানে একসময় পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯টি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে দেশটিতে।
বিদেশি ঋণের ভারে জর্জর গিনি-বিসাউয়ের অর্থনীতি এখনও বিদেশি অনুদাননির্ভর। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোয় মাদক পাচারের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহƒত হয় দেশটি।
