Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 10:03 pm

‘গুম-সংক্রান্ত কমিশনে’ অভিযোগের সময় বাড়ল দ্বিতীয় দফায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: গুম-সংক্রান্ত ঘটনা তদন্তে সরকার গঠিত কমিশনে অভিযোগ দেয়ার সময় দ্বিতীয় দফায় আরও সাত দিন বাড়িয়ে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জোরপূর্বক গুমের ঘটনার ভিকটিম নিজে বা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যে কোনো ব্যক্তি সশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

ডাকযোগে বা ই-মেইলেও অভিযোগ সম্পর্কে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের ৯৬, গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা-১২১২ বরাবর পাঠানো যাবে। ই-মেইল করা যাবে বফপড়সসরংংরড়হ.নফÑমসধরষ.পড়স এ ঠিকানায়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গত ২৭ আগস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠন করে দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা এবং অনুরূপ যে কোনো বাহিনী বা সংস্থার কোনো সদস্য বা সরকারের মদদে, সহায়তায় বা সম্মতিতে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সমষ্টি কর্তৃক ‘আয়নাঘর’ বা যে কোনো জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, বলপূর্বক গুমের ঘটনার সহিত জড়িত ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ ও তাহাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ প্রদান এবং বলপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের সুপারিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদনের জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।”

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত ঘটনা কমিশন বিবেচনায় নিতে পারবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া তুলে ধরে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। অভিযোগ জানাতে প্রথমে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হলেও পরে তা প্রথম দফায় ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার তা দ্বিতীয় দফায় ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত করা হলো।
১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভার্চুয়ালি কাজ শুরুর পর ১৩ দিনে তারা ৪০০ অভিযোগ পেয়েছেন বলে গত ৩ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান কমিশনের সভাপতি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।