Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 6:22 pm

গুরুত্বপূর্ণ ১২ নৌপথ সংস্কার হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান ৬৫টি নদীপথ চিহ্নিত করা হয়েছে মালামাল পরিবহনের জন্য। যার মধ্যে ১২টি নদীপথকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব নৌপথে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নকাজ শুরু হয়েছে। আর সামগ্রিক কর্মকাণ্ড শেষে বাকি ৫৩টি নদীপথেও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যে পণ্য ও মালামাল পরিবহন হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ নৌ করিডোর এবং আঞ্চলিক যোগাযোগসংক্রান্ত একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিআইডব্লিউটিএ।

গতকাল বিশ্বব্যাংকের এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ‘আনলকিং দ্য ট্রান্সফরমেটিভ পাওয়ার অফ ওয়াটার’ বিষয়ক ওই কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্টি ডিরেক্টর রাজেশ্বরী এস পারালকার প্রমুখ।

আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় নদীপথে সহজে মালামাল আনা-নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশ্বব্যাংক এতে আমাদের সহায়তা করবে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট স্টাডিজ রিসিপিয়েন্ট এক্সজুটেট ট্রাস্ট ফান্ড (আরইটিএফ) প্রকল্পের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব নৌপথে নিরাপদ ও কার্যকর পণ্যসহ যাত্রী পরিবহন সম্ভব হচ্ছে।

এদিকে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করে সচল রাখলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি এক শতাংশ বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, বারবার এসব নদী দখলমুক্ত করা হলেও আবার সেগুলো দখল হয়ে যায়, ফলে নৌ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। আমাদের এ নৌপথ ব্যবহার করতে হবে।

তিনি বলেন, নদীপথ সক্রিয় হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর দিয়ে দৈনিক প্রায় দুই লাখ যাত্রী পরিবহনসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল পরিবহন সহজতর হয়ে উঠবে।

নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথের মধ্যে বর্ষকালে ছয় হাজার এবং শুষ্ক মৌসুমে ৪৫০০ কিলোমিটার পথ সচল থাকে। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নদী পথের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের নদী পথের উন্নয়নে যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়ন হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক এ কর্মশালার মাধ্যমে বাংলাদেশের নদীপথের উন্নয়নের একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পাওয়া যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

দিনব্যাপী কর্মশালায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের শতাধিক বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি অংশ গ্রহণ করেন।