নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত যে বাড়িটি সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ, সেই সম্পত্তির দখল ও অবস্থানের ওপর আট সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল রোববার চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
বাড়িটি ঘিরে এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ১৯ মার্চ হাইকোর্ট ওই সম্পত্তি ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ বলে উল্লেখ করেন। সম্পত্তিটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সম্পত্তির দখল ও অবস্থান বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন (অ্যাফিডেভিট ইন কমপ্লায়েন্স) দিতেও বলা হয়।
হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে সালাম মুর্শেদী আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ (গতকাল) চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
চেম্বার আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক।
পরে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, গুলশানের ওই সম্পত্তির দখল ও অবস্থানের ওপর দুই পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। গুলশানের বাড়িটি আপাতত সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকছে।
আবদুস সালাম মুর্শেদী আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবলার। তিনি গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর সড়কে অবস্থিত ২৯ নম্বর বাড়িটি (সিইএন (ডি)-২৭) দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ।
পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত এই বাড়ি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক (বর্তমানে সংসদ সদস্য)।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়িসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৯ মার্চ হাইকোর্ট রায় দেন।