গুলশানে আইসিসি বাংলাদেশের নতুন প্রাঙ্গণ উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গুলশানে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের (আইসিসিবি) নতুন প্রাঙ্গণ গতকাল উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী ভাষণে টিপু মুনশি দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনীতিকে বিশ্ব দরবারে দ্রুততম অর্থনীতির মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশকে উন্নত অর্থনীতিতে পরিণত করণে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় সরকারি খাতের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আইসিসিবির নতুন সচিবালয় স্থাপনের জন্য আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী বোর্ডের সদস্য, সদস্য ও পৃষ্ঠপোষকদের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতেও আইসিসি বাংলাদেশ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একইভাবে কাজ করবে।

টিপু মুনশি আইসিসিবি বিজনেস ডিরেক্টরিও উদ্বোধন করেন। এতে  রয়েছে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের তথ্য এবং এফডিআই। প্রথম ডিরেক্টরিটি ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আইসিসি বাংলাদেশ ডিসিসিআই প্রাঙ্গণে অবস্থিত একটি ছোট অফিসে ১৭ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে আইসিসি বাংলাদেশের অর্গানাইজেশন ক্যাটেগরির আওতায় ১০টি চেম্বার অব কমার্স এবং বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য রয়েছে (এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, সিসিসিআই, এফআইসিসিআই, বিএবি, বিআইএ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ) এবং করপোরেট ক্যাটেগরির অধীনে ১২৮টি (৩১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক, সাতটি নন-ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন, ১০টি ইন্সু্যুরেন্স কোম্পানি, পাঁচটি ল’ফার্ম, ৫৬টি ন্যাশনাল কোম্পানি এবং ১৯টি ট্রান্সন্যাশনাল কোম্পানি) সদস্য রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, আইসিসিবি এ পর্যন্ত সাতটি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে, যাতে দেশ-বিদেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, মন্ত্রী, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, ব্যবসায়ী নেতা, পেশাদার এবং বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সর্বশেষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সম্মেলন উদ্বোধন করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মাহবুবুর রহমান আইসিসিবির প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি প্রয়াত লতিফুর রহমান, একে আজাদ, কুতুবউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী (পারভেজ), তপন চৌধুরী, এএসএম কাসেম ও মো. ফজলুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান নতুন অফিস প্রাঙ্গণ কেনার জন্য তহবিল সংগ্রহে অবদান রাখার জন্য।

আইসিসি বাংলাদেশের সহসভাপতি একে আজাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে আইসিসি বাংলাদেশের প্রয়াত সহসভাপতি লতিফুর রহমানের কথা স্মরণ করে তার দিক-নির্দেশনা, প্রতিনিয়ত সহায়তা এবং ১৯৯৪ সালে আইসিসি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লতিফুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০