নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় অভিযোগপত্র এ বছরের শেষদিকে দেওয়া হতে পারে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ কথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত ২০-২২ জনের সরাসরি সম্পৃক্ততার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন নিহত হয়েছে। তবে জড়িত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫ জন হতে পারে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর সেনপাড়া পর্বতা এলাকা থেকে ‘নব্য জেএমবি’র এক নেতা মাওলানা মো. আবুল কাসেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়েই ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন কাসেম। তবে এ হামলায় তার সম্পৃক্ততা কোন পর্যায়ের, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, জেএমবির শীর্ষ নেতা মাওলানা সাইদুর রহমান ২০১০ সালে গ্রেফতার হন। এরপর কাসেম জেএমবির বিদ্রোহী অংশের (নব্য জেএমবি) আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি তার নিজস্ব মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে নব্য জেএমবিকে হিংস্র করে তোলেন।
সূত্রমতে, নব্য জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতা তামিম চৌধুরী ২০১৩ সালে কানাডা থেকে আসার পর রাজশাহীতে যে বৈঠক করেছিলেন, সেখানে কাসেম উপস্থিত ছিলেন। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়ার পর তার কাছ থেকে কাসেমের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। তবে জাহাঙ্গীরের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী চক্রের প্রধান মো. মিজান ওরফে বড় মিজানকে গ্রেফতারের পর কাসেমের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জুলাই রাতে গুলশানে ওই সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হন।
গুলশান হামলার অভিযোগপত্র বছরের শেষদিকে

Add Comment