জীবন যতই সংকটাপন্ন হোক না কেন, মানুষ মানুষেরই জয় দেখতে মুখিয়ে থাকে। হয়তো তাই চাউর হয়েছিল, উদ্ধারে আসছে এলন মাস্কের সাবমেরিন। যদিও উদ্ধারকাজে সেই সাবমেরিন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়েনি ডুবুরিদের সহায়তায় আলোর মুখ দেখেন থাইল্যান্ডের কোচ ও তার শিষ্যরা।
থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই প্রদেশের থাম লুয়াং গুহায় বেড়াতে গিয়ে কোচসহ আটকে পড়ে খুদে ফুটবল দলটি। পরে বন্যার পানিতে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে যায়।
গুহায় আটকে পড়ার খবর শোনার পর তাদের উদ্ধারের জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক পরীক্ষামূলকভাবে একটি ছোট সাবমেরিন তৈরির কথা জানান। এলন মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান বিনিয়োগকারী, প্রকৌশলী ও আবিষ্কারক। তিনি স্পেসএক্সের সিইও ও সিটিও। পেপ্যালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। চেয়ারম্যানে দায়িত্ব পালন করছেন সোলারসিটিতে। উচ্চগতিসম্পন্ন হাইপারলুপ পরিবহন ব্যবস্থার উদ্ভাবকও তিনি।
উদ্ধারকাজ চলাকালে একটি ভিডিও বার্তায় মাস্ক দেখান, স্কুবা গিয়ার পরা তিন ব্যক্তি সুইমিং পুলে টিউবসদৃশ একটি সাবমেরিন পরীক্ষা করছেন। তার আবিষ্কৃত এই সাবমেরিনটি দুজন ডুবুরি টানতে পারবেন। ভেতরে একটি শিশুকে রেখে তাকে টেনে আনা যাবে। ওজনে বেশ হালকা। এতে তরল অক্সিজেন প্রতিস্থাপন টিউব ব্যবহার করা হয়েছে। সাবমেরিনটির সামনে ও পেছনে চারটি হাতল রয়েছে। যুক্ত রয়েছে চারটি এয়ার ট্যাংক। সাবমেরিনটি সরু পথ দিয়ে চলাচল করতে পারবে।
সাবমেরিনটি ব্যবহার করা না হলেও এটি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের দ্বার খুলে দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নতুন প্রযুক্তি পেয়েছে বিশ্ব। এমনই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের সাবমেরিন ভবিষ্যতে অনেক জটিল সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করা যাবে বলে মনে করেন তারা।
রাহুল সরকার