শেয়ার বিজ ডেস্ক: নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শহর ও গ্রামের গৃহহীন ও হতদরিদ্র মানুষের আয় কমে গেছে। এসব মানুষের জন্য ইতিমধ্যে সরকার ঘর, নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। গৃহহীন ও ভূমিহীন প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ মানুষ এই সহায়তা পাবে। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে এই সহায়তা। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অপচয়মুক্ত রাখতে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে পারে সরকার। তবে এর বাইরেও রেশনিং ভিত্তিতে খাদ্য বিতরণের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা দুই লাখ ৮১ হাজার এবং ভূমিহীন ১০ লাখ ৬৯ হাজার। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নেয়া পদক্ষেপে শহর ও গ্রামের ভাসমান ও গৃহহীন মানুষ নাজুক অবস্থায় পড়েছে।
তাঁদের জন্য ঘর, খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান প্রদানে ইতিমধ্যে ‘ঘরে-ফেরা’ কর্মসূচীর আওতায় সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। চলমান আশ্রয়ন প্রকল্পটির অধিনে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে, এজন্য প্রত্যেক এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কর্মসূচী সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থসহায়তা ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সপ্তাহিক ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা করতে পারে সরকার।
বিশ্বব্যাংকের এক গবেষনায় দেখা গেছে, দৈনিক ৬১ টাকা ৬০ পয়সাও আয় করতে পারে না এমন মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ৪১ লাখ। এসব মানুষের মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা পায়। তাঁদের সংখ্যা আরো বাড়াচ্ছে সরকার।
তবে শহরের শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ভিত্তিতে খাদ্য বিতরণ, স্বল্প মূল্যে খাদ্য বিক্রি এবং প্রয়োজনে হত দরিদ্রদের জন্য বিভিন্ন স্থানে খাবার বিতরণের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।