প্রতিনিধি, বশেমুরবিপ্রবি: গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সদরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা কর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে নব নির্মিত জেলা প্রশাসন স্কুলের ভেতর নিয়ে তারা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের শনাক্ত করতে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। তবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে গোপালগঞ্জ সদরের ঘোনাপাড়ায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক এসে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলেও মহাসড়ক থেকে সরেননি তারা। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে হেঁটে বিক্ষুব্ধ প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় অবস্থান নেন। তারা বিচার চেয়ে ৩ দফা দাবি ও আলটিমেটাম দেন।
ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগের হেলিপ্যাড এলাকায় দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। ওই সময় এক অটোরিকশা থেকে নেমে সাত থেকে আটজন ছাত্র তাদের ধরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে এবং ওই ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে তারা।
গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
