Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 12:06 pm

 গোপালগঞ্জে ‘মামা-ভাগনে’ মাতাবে হাট

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ :সম্পর্কে মামা-ভাগনে। মামা স্বভাবে রাগী আর দুষ্টু হলেও ভাগনে একদম শান্ত আর কোমল। তবে এ সম্পর্ক মানুষের নয়, বলা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি ষাঁড়ের কথা।

এবারের ঈদুল আজহা সামনে রেখে নিজ বাড়িতে ষাঁড় দুটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন গোপালগঞ্জের সবুজ গোলদার। মামার ওজন এক হাজার ৪০ কেজি আর ভাগনের ওজন ৯৬০ কেজি। এরই মধ্যে মামা ও ভাগনের দাম উঠেছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা। তবে ২০ লাখ হলে বিক্রির আশা করছের ষাঁড় দুটির মালিক। আর এ ষাঁড় দুটিকে দেখতে প্রতিদিনই গৃহস্থের বাড়িতে ভিড় করছেন স্থানীয় উৎসুক জনতা।

শুক্রবার কোটালীপাড়ার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ গোলদারের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে সবুজ গোলদারের নিজের পালিত দুটি গাভি থেকে জš§ নেয় অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড় দুটি। এর পরই এগুলোর নাম দেয়া হয় মামা-ভাগনে। পরম যতেœ ষাঁড় দুটিকে পালন করে আসছেন ষাঁড়ের মালিক সবুজ গোলদার, তার ছেলে সৌরভ গোলদারসহ পুরো পরিবার। প্রায় সাত ফুট লম্বা ও ছয় ফুট উচ্চতার এক হাজার ৪০ কেজি ওজনের কালো রঙের ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে মামা। আর সাত ফুট লম্বা ও সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার কালো-লালচে রঙের শান্ত প্রকৃতির ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ভাগনে।

মামা-ভাগনের মালিক সবুজ গোলদার জানান, কোনো ধরনের ওষুধ ছাড়াই খড়, ঘাস, খিচুড়িসহ দেশীয় খাবার খাইয়ে এবারের ঈদের জন্য ষাঁড় দুটিকে প্রস্তুত করেছেন তিনি। প্রতি বেলায় চার কেজি দানাদার খাবার, দুই আঁটি ঘাস ও খড় খায় ষাঁড় দুটি। প্রতিটি ষাঁড়ের খাবার বাবদ প্রতিদিন তার খরচ প্রায় ৭০০ টাকা।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শে ষাঁড় দুটিকে একদম প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। সাড়া ফেলে দেয়া এ ষাঁড় দুটি বিক্রি করে মালিক আর্থিক সংকট কাটিয়ে লাভবান হবেন বলে আশা করছি।