প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ : দুর্গা পূজা সামনে রেখে ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জের মন্দিরগুলোতে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ। শনিবার (১ অক্টোবর) দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মহাষষ্ঠী পূজা। পূজা চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর দেবী গজে (হাতি) চড়ে পৃথিবীতে আসবেন। কৈলাশে ফিরবেন নৌকায়।
গোপালগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ২৭৭টি মন্দিরে মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৪০টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩১৫টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৯৮টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ২৩০টি এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৯৪টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে আলোচনা সভা করেছেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। সভায় আলোকসজ্জা থেকে বিরত, প্রতিটি মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
জেলা শহরের সাহাপাড়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের আয়োজক হারান সাহা ও শ্রী শ্রী গণেশ পাগল সেবাশ্রমের আয়োজক সুজয় বিশ্বাস জানান, সরকার ও পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা তারা পেয়েছেন। বাইরে আলোকসজ্জা করায় মানা থাকলেও মন্দিরের ভেতরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে সড়কগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করবে।
প্রতিমাশিল্পী সরোজিত সেন, গোপালগঞ্জ সদরের রূপাহাটি গ্রামের সজীব মন্ডল, সৌমিত্র বিশ্বাস জানান, এ বছর তারা ৪ থেকে ১০টি প্রতিমা তৈরি করছেন। চাহিদার তুলায় মজুরি কম। বাপ-দাদার আদি পেশা টিকিয়ে রাখতে কাজ করছেন তারা।