প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ:মহাসপ্তমী শেষে আজ রোববার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী। দেবীর সন্ধি ও কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে পূজারীরা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জের মন্দিরগুলোয় শিল্পীরা রংতুলির শেষ আঁচড়ে প্রতিমার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল নির্মাণ ও সজ্জিত হয়েছে মণ্ডপ। মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুক্রবার শুরু হয়েছে গোপালগঞ্জে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজা।
এ বছর পাঁচটি উপজেলায় এক হাজার ২৯২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পঞ্জিকামতে, এ বছর দশভুজার আগমন এবং গমন দুই-ই হবে ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ২১ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ২২ অক্টোবর মহাষ্টমী, ২৩ অক্টোবর মহানবমী ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকরা। দেবী দুর্গার সঙ্গে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতীর পাশাপাশি ধর্মীয় দৃশ্যপট ফুটিয়ে তুলতে তৈরি করা হয়েছে অন্যান্য প্রতিমা। আলোকসজ্জার পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণেরও ব্যবস্থা আছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক ও সিসি ক্যামেরার আওতায় আছে মন্দিরগুলো।
জেলা প্রশাসন ও পূজা উদ্যাপন পরিষদ থেকে জানা গেছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় এক হাজার ২৯২টি মন্দিরে দুর্গাপূজা হবে, যা গত বছরের তুলনায় ১৫টি বেশি। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৪০টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩২৫টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৯৯টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ২৩৪টি ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৯৪টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা।
গোপালগঞ্জ শহরের বাজার যুব সংঘের আয়োজক কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার সাহা দীপু বলেন, এ বছর উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদ্যাপন করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সার্বজনীন কেন্দ্রীয় কালীবাড়ীর আহ্বায়ক সরোজ কান্তি বিশ্বাস (খোকন) বলেন, এ বছর মহা ধুমধাপমের সঙ্গে পালিত হচ্ছে দুর্গাপূজা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক বলেন, এ বছর জেলায় ২১টি পূজামণ্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মণ্ডপে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণের জন্য চাল বরাদ্দের ব্যাবস্থা আছে।
জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জš§ধন্য গর্বিত জেলা গোপালগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা শেষ হবে বলে আশা করা যায়।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, আশা করছি গোপালগঞ্জে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।