Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 8:42 pm

গোল্ডেন সনের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকৌশল খাতের কোম্পানি গোল্ডেন সন লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৬৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৭ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২ কোটি ৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৪৩ লাখ ৬৭ হাজার ১৯৫টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫২৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর আট কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৫ টাকা ৭০ থেকে ২৩ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ২ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২১-মার্চ, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৬ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৩১ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪৯ পয়সা। এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বেড়েছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই দশমিক ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ২২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের (উদ্যোক্তা বা পরিচালক ব্যতীত) দুই দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা পাঁচ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা তিন পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৭১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১৭ কোটি ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং বাকি ৪২ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে ইস্টার্ন কেব্লস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ। মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, ফাইন ফুডস লিমিটেডের ১১ দশমিক শূন্য এক শতাংশ, ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেডের আট দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের ছয় দশমিক ৮৫ শতাংশ, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ছয় দশমিক ৬২ শতাংশ এবং এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের ছয় দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।