রবিউল আউয়াল রবি, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রি (অনার্স) কলেজে অধ্যয়নরত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ৩৭৩ পরীক্ষার্থী ফরম ফিলাপের সময় সরকারের নির্ধারিত ফিসের চেয়েও অতিরিক্ত ফি ছাড়াও কভিডকালে না পড়িয়ে নেয়া হয়েছে বেতনসহ বিভিন্ন খাতের অর্থ।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে মহামারিতে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয় বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপের জন্য নেয়া অর্থ ফেরত পাঠানোর কথা জানায় এবং নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সেই টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, গত ১৫ জুন তারা (পরীক্ষার্থীরা) কলেজে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই টাকা না দিয়ে নানা অজুহাতে তাদের ফেরত পাঠায়। পরে এ বিষয়ে পরীক্ষার্থীরা নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়।
পরীক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার সাথী জানান, আমরা যখন ফরম ফিলাপ করেছি, তখন বেশি টাকা দিতে হয়েছে, আর এখন যখন সেই টাকা ফেরত নিতে এসেছি, স্যাররা টাকা কম দিতে চাচ্ছেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, তারা অভিযোগ করতে দলবেঁধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যান। তারা মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত কোনো শিক্ষার্থী সর্বমোট এক হাজার ৬৫ টাকা ফেরত পাবেন। এর মধ্যে শিক্ষাবোর্ড দেবে ৪৮০ টাকা, কেন্দ্র দেবে ২২৫ টাকা ও আট বিষয়ের ব্যবহারিক অংশে ৪৫ টাকা করে মোট ৩৬০ টাকা ফেরত পাবেন। অপরদিকে মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা শাখায় কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী পাবেন মোট ৬২৫ টাকা। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন শেয়ার বিজকে বলেন, পরীক্ষার্থীদের টাকা দেয়া হবে। তবে এখন দিতে পারছি না। ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি ও কেন্দ্র ফির টাকা খরচ হয়ে গেছে। কলেজের ফান্ডেও টাকা নেই। ইউএনও হাসান মারুফ জানান, পরীক্ষার্থীরা এসেছিলেন। তাদের অভিযোগ শুনেছি। সরকারের নির্ধারিত টাকার চেয়ে কম টাকা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।