Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:57 am

গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম নিয়ে চীনের নতুন পদক্ষেপ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: মাইক্রোচিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই চীন সেমিকন্ডাক্টর তৈরির প্রধান দুটি উপাদান রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যাচ্ছে। খবর: বিবিসি।

নতুন এ নীতি অনুসারে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি থেকে কোথাও গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম রপ্তানির জন্য বিশেষ লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে। চিপ এবং সামরিক সরঞ্জামাদি উৎপাদনে এ দুই উপাদান ব্যবহার করা হয়।

মাইক্রোপ্রসেসর শিল্পে চীনের অগ্রগতি রুখতে ওয়াশিংটন যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে এমন ঘোষণা দিল চীন। বিশ্বে গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম উৎপাদনে বড় দেশ চীন। জরুরি কাঁচামাল শিল্প সংক্রান্ত জোট ক্রিটিক্যালের ম্যাটেরিয়ালস অ্যালায়েন্স সিআরএমএ-এর হিসাব অনুসারে, সারাবিশ্বে ব্যবহূত গ্যালিয়ামের ৮০ শতাংশ এবং জার্মেনিয়ামের ৬০ শতাংশ আসে চীন থেকে।

গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়ামকে বলা হয় মাইনর মেটাল। প্রকৃতিতে এগুলো সাধারণত পাওয়া যায় না। অন্যান্য প্রক্রিয়ার উপজাত হিসেবে এগুলো তৈরি হয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জাপান ও নেদারল্যান্ডসও চীনের কাছে চিপ প্রযুক্তি রপ্তানির ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারী বিশ্বের প্রধান একটি কোম্পানি এএসএমএল নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত।

বিএমও ক্যাপিটাল মার্কেটসের কলিন হ্যামিলটন বলেন, চীনের এই ঘোষণা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। কারণ এর আগে নেদারল্যান্ডসসহ আরও কয়েকটি দেশ চীনের কাছে চিপ রপ্তানির ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। বিষয়টা খুব সহজ। আপনি যদি আমাকে চিপ না দেন, তাহলে এসব চিপ তৈরিতে যেসব উপাদান লাগে, আমরাও সেগুলো আপনাদের দেব না।

বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ দুটির মধ্যে ক্রমাগত এ ধরনের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের ফলে সম্পদের জাতীয়তাবাদীকরণ প্রবণতার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ প্রবণতায় একটি দেশের সরকার আরেকটি দেশের ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিজেদের কাছে মজুত করে রাখে।

বার্মিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কেভিন হারপার বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বিভিন্ন দেশের সরকার এখন বিশ্বায়নের ধারণা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তিনি গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিয়ে গবেষণা করেন।