নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আজ রোববার বেলা ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করা হবে বলে বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে।
বিইআরসির এক সদস্য জানান, গড়ে প্রায় ১৭ থেকে ২০ ভাগের মতো দাম বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে। আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মাসিক বিল ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৮০ অথবা এক হাজার ১০০ টাকার মতো হতে পারে। এছাড়া অন্য খাতগুলোয় সমন্বয় করে দাম বাড়ানো হবে, যাতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ না পড়ে।
গ্যাসের ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের ছয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি, গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর মুনাফার একটি অংশসহ কিছু জায়গা থেকে ফান্ড নিয়ে এলএনজিতে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেই আমরা গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরীর সঙ্গে গ্যাসের দামের বিষয়ে দিনভর বৈঠক করেছেন বিইআরসির কর্মকর্তারা। এতে আবাসিকে গ্যাসের দাম কম বাড়িয়ে দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ‘রোববার গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেদিন কেন এত তাড়াহুড়া করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়, তা জানতে চাইলে এক সদস্য জানিয়েছিলেন, সময়ের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী শুনানির ৯০ দিনের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হয়। আমরা সেই সময়ের খুব কাছাকাছি জায়গায় রয়েছি।
কমিশন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার ও শনিবারসহ টানা তিন দিন গ্যাসের দাম নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলেছে। গ্যাসের দামের বিষয়ে গত মার্চে চার দিনের গণশুনানির কথা হয়। কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি বিতরণ মার্জিন বৃদ্ধির আবেদন করে। গণশুনানিতে বিইআরসি কারিগরি কমিটির মতামত বলেছে, ইউনিটপ্রতি (ঘনমিটার) বিদ্যমান ২৫ পয়সা চার্জে কোনো কোম্পানির প্রয়োজনীয়তা নেই। ছয় বিতরণ কোম্পানির মধ্যে কর্ণফুলীর কমানো আর অন্যদের বিতরণ মার্জিন বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
কমিশনের এক সদস্য জানান, কোম্পানিগুলো ১১৭ ভাগ বললেও আমরা ১০০ ভাগ বাদ রেখেই চিন্তা করছি। এখন পর্যন্ত ১৭ থেকে ২০ ভাগ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।