নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্যাসের দাম সহনীয় থাকবে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কোনো হঠকারি সিদ্ধান্ত নেবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল সচিবালয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিইআরসির (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের আলোচনা হয়েছে। আশা করছি গ্যাসের দাম সহনীয় থাকবে। খুব বেশি বাড়বে না।
সংবাদ সম্মেলনে তিতাসের কয়েকটি ফিল্ড বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের মজুদ কমতে শুরু করেছে। এ জন্য আমরা জ্বালানি আমদানির দিকে নজর দিয়েছি। পাশাপাশি দেশের মধ্যে অনুসন্ধান জোরদার করা হচ্ছে, সেখানেও কিছু গ্যাস পাওয়া গেছে।
বছরে দুই বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি আমদানির প্রয়োজন পড়বে। এতে ডলার রিজার্ভে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই বিলিয়ন ডলার কিছুই নয়। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এ দুই বিলিয়নের সুফল পড়বে ২০ গুণ। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি ঘটনায় তদন্ত চলছে। একটি প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে হাইপ্রোফাইল তদন্ত চলছে। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিগত দিনে যারা দায়িত্বে ছিলেন, এমনকি অডিটেও গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি বিইআরসি সূত্র জানায়, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে কমিশন। আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাইপলাইনে যুক্ত হলেই এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে। উচ্চমূল্যের এলএনজি পাইপ লাইনে যুক্ত হলে গ্যাসের গড় মূল্য অনেক বেড়ে যাবে। এতে গ্যাসের দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প দেখছে না সংস্থাটি। তবে সরকার যদি মনে করে আপাতত গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে প্রয়োজনে ভর্তুকি দেবে, তাহলে দাম নাও বাড়তে পারে।