নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে গভীর সমুদ্রে ভেসে গেছে এলএনজি সরবরাহের একটি ভাসমান টার্মিনাল। এ জন্য গ্যাসের প্রবাহ স্বাভাবিক হতে দু-এক দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী গ্যাস পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের ওই রকম কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটা ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) বা ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সরে গেছে। আরেকটি রয়ে গেছে। যেটা রয়ে গেছে সেটি দিয়ে আমরা দু-তিন দিনের মধ্যে গ্যাস চালু করতে পারব। যেটা খুলে গেছে, সেটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি ডুবুরি আসবে; তারা গিয়ে কাজ করবেন। তবে আমরা মনে করি, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ওই রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শিগগিরই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারব। আরও দু-এক দিন সময় লাগতে পারে।’
এফএসআরইউ সরে যাওয়ায় গ্যাস সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হবে কি না–জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটি এফএসআরইউ হয়তো আমরা ঠিক করতে পারব না, ৪০০ এমএমসিএফ (মিলিয়ন কিউবিক ফুট) গ্যাসের ঘাটতি থাকবে। আমি মনে করি, এখনকার পরিস্থিতি থাকবে না, উন্নতি ঘটবে। তবে কিছু কিছু জায়গায় প্রভাব থাকবে। সেটা খুব বেশি না। গতকাল (শনিবার) রাত থেকে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল, এটা কভার করে আগামী দুদিনের মধ্যে ভালো অবস্থানে যেতে পারব।’
দুটি এফএসআরইউ পুরোদমে চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুটি চালু হতে সময় লাগবে। একটা চালু হয়ে যাবে। আগামী দুদিনের মধ্যে জাহাজ চলে আসবে, গ্যাস আমরা দিতে পারব। আরেকটি চালু হতে ১২-১৫ দিন সময় লাগবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বিদ্যুতের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখন পর্যন্ত খবর পাওয়া যায়নি, মনিটরিং করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি বলেন, ‘সুখবর হচ্ছে মোখার যে ভয়াবহতা আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটা কেটে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও খুব বেশি একটা হয়নি। খুব দ্রুতই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।’