সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনা দেশবাসীর মনে এক আতঙ্ক তৈরি করেছে, যদি এটি কোনো নতুন ঘটনা নয় বিগত দুই বছর ধরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে একাধিক বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আর গ্যাস লাইনে ত্রুটি যার মূল কারণ। সম্প্রতি ভুক্তভোগী হয়েছে রাজধানীর জনগণ। পুরোনো, জীর্ণ এবং অসংখ্য ছিদ্র থাকার কারণে এমনিতেই তিতাসের বিতরণ নেটওয়ার্ক খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) এবং তিতাসের অপারেশন বিভাগের গাফিলতিতে গত ২৪ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীবাসীকে এমন আতঙ্কে ফেলেছিল। ভয়ঙ্কর একটি রাত কেটেছে রাজধানীবাসীর। গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জনগণকে সতর্ক করা হয়। তারা নিরাপদ আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। অস্বাভাবিক গ্যাস লিকেজের ঘটনা বড় ধরনের সতর্ক সংকেত হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা প্রমাণ হয়েছে এই ঘটনায়। যে পরিমাণ গ্যাস বের হয়েছে এগুলো মাটির ওপরে বা কোথাও আটকে থাকলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা ছিল। আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত গোটা শহরে। ঘটতে পারত ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এমন প্রাণহানি দেশে অনেকবার ঘটেছে। ঘটনার জন্য তিতাস কর্তৃপক্ষ শুধু ঈদের ছুটিতে গ্যাসের চাহিদা কমে যাওয়াকে দায়ী করে দায় এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন। বিতরণ লাইনের দুরবস্থা, পরিচালনায় ঘাটতি, সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ খুঁজে বের করে প্রতিকারের কোনো উদ্যোগও চোখে পড়েনি। সর্বোপরি বলা বাহুল্য গ্যাস লাইনের ত্রুটি নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে ভবিষ্যতে এমন আরও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে।
জুনায়েদ মাসুদ
শিক্ষার্থী
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়