গ্যাস সংকটে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঢাকা ডায়িংয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক:দি ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ডায়িং বিভাগের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২৬ জুলাই তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটির কারখানায় গ্যাস সংযোগ সাময়িক সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন করায় ডায়িং বিভাগের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ডায়িং বিভাগের উৎপাদন বন্ধ থাকলেও অন্যান্য বিভাগের কার্যক্রম যথানিয়মে চালু রয়েছে বলে জানা গেছে।

২০২২-২৩ হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) ঢাকা ডায়িংয়ের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় কমেছে। আলোচিত এই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান গুনলেও আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা ছিল। এক দিনে বিক্রি কমে যাওয়া অন্যদিকে গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ায় আলোচিত সময়ে ইপিএস কমেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ১১ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৯ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৬৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৩৪ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৭০৭ শেয়ার ২৭১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮৭ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৬৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এনওসিএফপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৮ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা। বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ২১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট আট কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২০ দশমিক ২৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৯ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং শেয়ারের বাজারদরের ভিত্তিতে কোম্পানিটির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৯৪ দশমিক ২৯ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে কোম্পানিটির মূল্য আয় অনুপাত ৯৯০।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০