শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে সিন্ধ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেডিং এস্টেট (সাইট) শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সংকটে রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রায় তিন দিন ধরে গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপ না থাকায় উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন শিল্প মালিকরা। খবর: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, গ্যাস সরবরাহ না থাকায় অনেক শিল্প মালিক উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন। কয়েকটি ইউনিট জ্বালানির কারণে বন্ধ রয়েছে।
সাইট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ড্রাস্ট্রির (এসএআই) প্রেসিডেন্ট আব্দুল রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও জ্বালানিমন্ত্রী মুসাদিক মালিককে করাচির শিল্পে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে নজর দিতে হবে। গত দুই সপ্তাহ ধরে গ্যাসের চাপ কম ছিল। কিন্তু গত তিন দিন ধরে তা শূন্যে নেমে এসেছে। পূর্ণাঙ্গ চাপসহ শিল্পে যদি গ্যাস সরবরাহ না থাকে তাহলে রপ্তানির অর্ডার পূরণ করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্প অতি প্রয়োজনীয় বিদেশি মুদ্রা নিয়ে আসার অবস্থায় থাকবে না।
পাকিস্তানের গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসএসজিসি’র একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভারী বর্ষণের কারণে গ্যাস সরবরাহে বিঘœ ঘটেছে। ফলে করাচির বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল না। শিগগির বিষয়টির সমাধান করা হবে।
টপ লাইন সিকিউরিটিজের সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট সানি কুমার বলেন, পাকিস্তানের সংকটের অন্যতম কারণ অতিরিক্ত জ্বালানি আমদানি। ২০১২ অর্থবছরে পাকিস্তানের দেশীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন ৪ হাজার ২৫৯ ঘনমিটার থাকলেও ২০২২ অর্থবছরে তা কমে হয়েছে ৩ হাজার ৩৮৮ ঘনমিটার। ২০১২ সালের উৎপাদন মাত্রা বজায় থাকলে বছরে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার কম ব্যয় হতো। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সরকার আমদানি ব্যয় কমাতে চাইছে। কিন্তু শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের ঘাটতি শুধু যে রপ্তানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে তা নয়, শিল্পে কর্মী ছাঁটাইয়ের দিকেও নিয়ে যাবে।