নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: রাষ্ট্রীয় সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি (সিইউএফএল) কারখানার ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া প্লান্টে পূর্ণ উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪৭-৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু কারখানার পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ না থাকায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। গত শুক্রবার থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন দিতে হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার বেশি লোকসান। এর আগে গত ২৭ মার্চ গ্যাস সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায় সিইউএফএল কারখানা। পরে ৫ এপ্রিল চালু হয়।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, কারখানার ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া প্লান্টে পূর্ণ উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪৭-৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু কারখানার পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ কম। যদিও কারখানাটি চালু থাকাবস্থায় দৈনিক ১ লাখ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া ও ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম। এখন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন দিতে হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার বেশি লোকসান। কারখানা বন্ধ থাকলেও ৯ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
জানা গেছে, গত এক মাসের প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে সিইউএফএল কারখানার কনভার্টার ক্যাটালিস্ট পরিবর্তন করা হয়। ক্যাটালিস্ট অ্যামোনিয়া উৎপাদনে উপযোগী করে তোলার জন্য ১০ মে বিশেষজ্ঞ টিম কারখানা পরিদর্শনের কথা রয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় ক্যাটালিস্টের কাজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
সিইউএফএলের এমডি মিজানুর রহমান জানান, গ্যাস সংকটসহ নানা কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকলে যন্ত্রাংশে মরিচা পড়ে ও বিকল হয় যায়। গ্যাস সরবরাহের জন্য কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ, কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় ১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কারখানায় বছরে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়। বিগত অর্থবছরে কারখানায় প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হয়।