Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 2:47 pm

গ্যাস সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ৬০ লাখ নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার পর নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। গত শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে শনিবার চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার দুপুরের দিকে রিজার্ভ গ্যাস পাওয়া গেলেও গতকাল রোববার তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে চট্টগ্রামের ৬০ লাখ বাসিন্দা জনজীবন বিপাকে পড়ে।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) সূত্রে, চট্টগ্রামের প্রতিবছরের আবাসিক, শিল্প-কলকারখানা, বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনমিটার। কেজিডিসিএল সরবরাহ করে ২৫০ মিলিয়ন ঘনমিটার। এর মধ্যে আমদানিকৃত এলএনজির মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করা হয়। দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়ায় এ নির্ভরশীলতা বেড়েছে। এদিকে মোখার কারণে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সরিয়ে নেয়া হয়। এতে পুরো চট্টগ্রামের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গ্যাসের চুলা নির্ভর বাসা-বাড়ি ও দোকানগুলোতে রান্না চলছে না।

এদিকে বাসায় রান্না বন্ধ থাকায় নগরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেখা গেছে, খাবারের জন্য গ্রাহকদের লম্বা লাইন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মিলছে না খাবার। নগরের কে সি দে রোড, এসএস খালেদ রোড, অলংকার মোড়, ওয়াসা মোড়, আলকরণ মোড়, পাহাড়তলী কলেজ রোড, চকবাজার, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে জানা গেছে, গ্যাস সংকটের কারণে রেস্তোরাঁগুলো থেকে গ্রাহকদের চাহিদামতো খাবার সরবরাহ করা যাচ্ছে না। আবার অনেকে পাঠাও, সহজ ফুড, ও ফুডপান্ডা অ্যাপের মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট বা হোমমেড খাবার অর্ডার করছেন। নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় খাবার নিতে আসা এক নারী ফিরে আসার সময় অভিযোগ করে বলেন, ১০ মিনিট পর দেয়ার কথা বললেও এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তিন প্যাকেট চিকেন বিরিয়ানি পাইনি। উল্টো অন্য গ্রাহকরা দুর্ব্যবহার করেছেন। চকবাজারের সাইমুন  হোটেলের ম্যানেজার মামুন বলেন, লাইনে গ্যাস না থাকায় কোনো ব্যবসা হয়নি।

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ বিষয়ে কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের লাইনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। গত শনিবার রিজার্ভ থেকে নিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। রিজার্ভে সাধারণত থাকে ৮০ থেকে ৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।