নিজস্ব প্রতিবেদক : পিউরইট বিক্রির জন্য কিস্তির পন্থা বেছে নিয়েছে ইউনিলিভার। গ্রামেগঞ্জে বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে মাসিক কিস্তিতে এ পণ্যটি বিক্রি করা হবে। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির আশ্বাস দিয়ে এ পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রটি পৌঁছানো হচ্ছে দরিদ্র ভোক্তাদের কাছে। এজন্য সহযোগী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এসডিআই) নামের একটি এনজিওকে।
সূত্রমতে, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে কিস্তির মাধ্যমে পিউরইট বিক্রির জন্য মার্কেটিং শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানিটি। পণ্য বিক্রির আগে পিউরইট ও তাদের সহযোগী এনজিও এসডিআই’র কর্মীরা পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশুদ্ধ পানির গুরুত্বের বিষয়ে প্রচারণা চালান। এ কার্যক্রমের আওতায় এরই মধ্যে সাভার ও ধামরাই এলাকার চারটি গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানকার অন্তত সাত হাজার পরিবারকে টার্গেট করে কাজ করছেন এজেন্টরা।
এ প্রসঙ্গে এসডিআই’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হক বলেন, ‘আমরা নিরাপদ পানির বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করি। ইউনিলিভারের সঙ্গে এ-সংক্রান্ত একটি কর্মসূচিতে আমরা অংশ নিচ্ছি।’ এ ব্যাপারে ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত জানাতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউনিলিভার সূত্রে জানা গেছে, যৌথভাবে ক্ষুদ্রঅর্থায়ন (মাইক্রোফাইন্যান্স) কার্যক্রম পরিচালনা করছে পিউরইট ও এসডিআই। এর আওতায় গ্রামে বসবাসকারী যে কোনো নাগরিক সুবিধাজনক মাসিক কিস্তিতে পিউরইট যন্ত্র ও এর জার্ম কিল কিট (জিকেকে) ডিভাইস কিনতে পারবেন। প্রতিটি পিউরইটে প্রাথমিকভাবে দেড় হাজার লিটার পরিশোধিত খাবার পানি পাওয়া যাবে। পরে ধারাবাহিকভাবে বিশুদ্ধ পানি পেতে নিয়মিত ছাঁকনি ও জিকেকে ডিভাইস কিনতে হবে। অর্থাৎ পিউরইটের গ্রাহকরা যতদিন এ পণ্যটি ব্যবহার করবেন ততদিনই ইউনিলিভারের ক্রেতা হয়ে থাকবেন।
উল্লেখ্য, দেশের গ্রামাঞ্চলে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির সংকট রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ পানির জন্য বহুজাতিক কোম্পানির পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা সৃষ্টিকে ভাল সমাধান মনে করছেন না অনেকেই। নিরাপদ পানির জন্য প্রচলিত স্থানীয় জ্ঞান ও কৌশল ব্যবহারই অধিকতর টেকসই সমাধান বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।