গ্রামীণফোনের দরপতনের প্রভাবে সূচক নেতিবাচক

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল সপ্তাহের প্রথম দিনে নেতিবাচক গতিতে লেনদেন হয়েছে। সূচক, বেশিরভাগ শেয়ারদর ও লেনদেনে পতন হয়েছে। প্রকৌশল ও বস্ত্র ছাড়া বৃহৎ অন্যান্য খাতে দরপতনের হার বেশি ছিল। মাঝারি খাত বিশেষ করে বিবিধ খাত ও খাদ্য খাতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। ছোট খাতগুলোর মধ্যে পাট এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাত শতভাগ ইতিবাচক ছিল। তবে সূচকের পতনে মূল ভূমিকায় ছিল গ্রামীণফোন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা থেকে অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করার জন্য গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গ্রামীণফোন এই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বাতিল হয়ে যাবে। তখন বিটিআরসি গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে যে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে। গতকাল আদালতের এ রায়ের কারণে গ্রামীণফোনের শেয়ারদরে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এক দিনে শেয়ারটির দর ১৮ টাকা ৪০ পয়সা কমে কোম্পানিটি দরপতনের শীর্ষ দশে নেমে যায়। আর এর প্রভাব পড়ে সূচকে, যার কারণে সূচক নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায়।

গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশ বা ৬৭ কোটি টাকা বিমা খাতে হলেও এ খাতে ৭৬ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা লেনদেন হলেও এক টাকা দরপতন হয়। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের প্রায় আট কোটি টাকা লেনদেন হলেও এক টাকা ১০ পয়সা দরপতন হয়। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৬ শতাংশ। এ খাতে ৫৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ন্যাশনাল টিউবসের সাড়ে ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৭০ পয়সা। বিবিএস কেব্লসের প্রায় আট কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে দুই টাকা ৬০ পয়সা। সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়ে ইয়াকিন পলিমার দর বৃদ্ধিতে সপ্তম অবস্থানে উঠে আসে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ। এ খাতে ৫২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোয়া ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে বীকন ফার্মা। দর বেড়েছে তিন টাকা। সিলভা ফার্মার প্রায় আট কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে সপ্তম অবস্থানে উঠে আসে। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে ৬০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ভিএফএস থ্রেডের ৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা। কাট্টলি টেক্সটাইলের প্রায় সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের ছয়টি ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানি। এসব কোম্পানি হচ্ছে সায়হাম টেক্সটাইল, কুইন সাউথ, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, তোসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, দেশ গার্মেন্টস ও আমান কটন ফাইবার্স। এসব শেয়ারের দর প্রায় ৯ থেকে ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। আর কোনো খাতে উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়নি। বিবিধ খাতে ৫৪ শতাংশ ও খাদ্য খাতে ৮১ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বিবিধ খাতের ন্যাশনাল ফিড মিলের দর ১০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। চামড়াশিল্প খাতের এ্যাপেক্স ট্যানারির দর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০