Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:52 pm

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পাশে গ্রামীণফোন, সৃজনী ও ফেরাটম

বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াসে একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্যাংকিং লাইসেন্সধারী ইউরোপভিত্তিক অর্থপ্রযুক্তিবিষয়ক গ্রুপ ফেরাটম ও সৃজনী ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সম্প্রতি একটি অংশীদারি চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

ডিজিটাল সেবা থেকে বঞ্চিত দেশের অনেকে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের নারীদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির হার তুলনামূলকভাবে বেশি। এ যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে নভেম্বর থেকে এসব অঞ্চলে নারীদের মাঝে স্মার্টফোন ব্যবহারের উপযোগিতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি, সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোন কেনার জন্য ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থা করাসহ প্রথম ছয় মাসে ২০ গিগাবাইট ইন্টারনেট ডেটা সরবরাহ করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্মার্টফোন কিনতে ক্ষুদ্রঋণ দেবে সৃজনী ফাউন্ডেশন ও ফেরাটম গ্রুপ। ডেটা সংযোগ নিশ্চিত করবে গ্রামীণফোন।

এ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ের ইনোভেশন ল্যাবে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মেহের আফরোজ। আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান, প্রোডাক্ট বিভাগের প্রধান এইএম সাইদুর রহমান, ডিভাইস বিভাগের প্রধান সরদার শওকত আলী ও হেড অব এক্সটারনাল কমিউনিকেশন্স

মুহাম্মদ হাসান।

বেগম মেহের আফরোজ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মূলে রয়েছে দেশের জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনা। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে নিরলস কাজ করছে সরকার।

ইয়াসির আজমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের উৎকর্ষের এ সময়ে এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ডিজিটালসেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে পারব। সৃজনী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. এম হারুন অর রশিদ বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী গতানুগতিক ব্যাংকিং সেবার বাইরে রয়ে গেছে। বিশেষ করে সঞ্চয়, ঋণ কিংবা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় সেবাপ্রাপ্তির সম্ভাবনা অপ্রতুল। ঋণ গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ করার সঙ্গে উৎপাদনমূলক কর্মকাণ্ড সরাসরি সম্পর্কিত বলে মনে করে সৃজনী। বিশেষ করে স্মার্টফোন ডিভাইসের ক্ষেত্রে অর্থায়নের সুযোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারে। এ যৌথ উদ্যোগের ফলে সমাজের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত ও স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর কাছে তথ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে কৃষিনির্ভর আর্থিক কর্মকাণ্ড কিংবা দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।