নিজস্ব প্রতিবেদক: নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের একমাত্র দেশীয় অংশীদার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের ৯৯ জন কর্মীকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে ট্রেড ইউনিয়ন রক্ষারও দাবি করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
স্মারকলিপিতে তারা জানান, গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘স্বল্প আয়ের মানুষ তথা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অভাব দূরকরণের জন্য সুযোগ সৃষ্টির কথা বললেও কার্যত বাস্তবতা তার বিপরীত। এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরাই যথাযথ সুযোগ-সুবিধা থেকে বারবারই বঞ্চিত। কোম্পানির মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল (ডব্লিউপিপিএফ) ৫% প্রদান করার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না এবং রাষ্ট্রও তার প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইউনিয়ন বাতিলের চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ ইউনিয়ন বাতিলের জন্য মামলা করা হয়। ইউনিয়ন বাতিলের জন্য কোম্পানির আইনজীবী ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকার বিল প্রদান করেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ইউনিয়নের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রাখার জন্য আদালত নির্দেশ দেন। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত ইউনিয়নের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন প্রদান করেন। কিন্তু এরপরও মালিকপক্ষ অসদুপায় অবলম্বন করে ইউনিয়ন বন্ধের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আবেদন করে এবং গত ১ জানুয়ারি ইউনিয়ন ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়নের সঙ্গে সস্পৃক্ত হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আইনের কোনো রকম তোয়াক্কা না করে অন্যায়ভাবে কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দোসর বোর্ড মেম্বাররা। এছাড়া ২৫ অক্টোবর ই-মেইলে অফিস আদেশের মাধ্যমে ৯৯ জন কর্মীকে টার্মিনেশন করা হয়। এসব কর্মীদের পুনর্বহাল করতে হবে।