গ্রামীণ ফোনে ভর করে এগিয়ে সূচক

শেয়ার বিজ: টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোনের ওপর ভর করে দিনশেষে ইতিবাচক অবস্থানে ছিলো দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই। দিনশেষে কোম্পানিটির দর বেড়েছে প্রায় তিন শতাংশ। এর জের ধরে ডিএসইর সার্বিক সূচককে এগিয়ে রাখতে ভূমিকা রেখেছে বহুজাতিক কোম্পানিটি।

তথ্যমতে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আজ ডিএসইতে ৩৩৩টি কোম্পানি এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ২০৪টি কোম্পানি ও ফান্ডের। এর বিপরীতে কমেছে ৯৫টির দর। দিনশেষে ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আজ ডিএসইর গতিবিধি বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণ, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেনেটার ওপর নির্ভরশীল ছিলো। তবে বাজারের মূল চালিকা শক্তি ছিলো গ্রামীণফোন। দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক ৩০ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। সূচক বৃদ্ধির পেছনে গ্রামীণ ফোনের ভূমিকা ছিলো প্রায় ৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। দিনজুড়ে কোম্পানিটির দুই লাখ ৯৬ হাজার ৭৭৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৪ টাকা ১০ পয়সা বা তিন দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া সূচক বৃদ্ধিতে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক পাঁচ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ডাচ বাংলা ব্যাংক দুই দশমিক চার পাঁচ শতাংশ, এবি ব্যাংক দুই দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেনেটা চার দশমিক শূণ্য চার শতাংশ ভূমিকা রেখেছে।

তবে দিনশেষে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিলো এবি ব্যাংক। দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০টি কোম্পানির অধিকাংশ-ই ছিলো ব্যাংকিং খাতের। একইসঙ্গে বহুজাতিক কোম্পানির আধিপত্য ছিলো চোখে পড়ার মতো। তারপরও সূচকের নিয়ন্ত্রণ ছিলো গ্রামীণফোনের হাতে।

এদিকে দিনজুড়ে ডিএসইতে ২৮ কোটি পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৬টি শেয়ার প্রায় এক লাখ ৫৪ হাজার বার লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৯৮৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। উত্থানের মধ্যদিয়ে দিনের লেনদেন শুরুর পর দুপুরে নেতিবাচর ধারা দৃশ্যমান ছিলো। তবে শেষে দেড় ঘন্টায় গতি ফিরে পায় বাজার। যা লেনদেন শেষ হবার আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০