গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-২, ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আনন্দঘন উপস্থিতির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত পরিচালক জনাব মোঃ জসীম উদ্দীন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মোসলেহ উদ্দীন ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো ছ্ইাদুজ্জামান ভূঞা। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেযারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ।
জাতীয় সংগীত ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অতঃপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর তথ্য চিত্র প্রদর্শন, গান ও কবিতা আবৃতি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাঙালির জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের অবদান ও গুরুত্ব ব্যাপক। এককথায় যা বলে শেষ করা যাবে না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃৎ। ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ’বাংলাদেশ’ দুটি নাম, একটি ইতিহাস। এক ও অভিন্ন সত্ত্বা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত অর্থনৈতিক নীতির আলোকে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সংগ্রাম সার্থক হবে এবং স্বাধীনতা হবে অর্থবহ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাক বাংলাদেশ, এই কামনা আমাদের সবার।
সভাপতির বক্তব্যে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেযারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ বলেন, স্বাধীনতা একটি জাতির তথা দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। যে জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ সে জাতির জীবনে কোনো গৌরব নেই। স্বাধীনতা জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলে। তাই জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও অর্থবহ । লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে এবং তা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত পরিচালক জনাব মোঃ জসীম উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নকে জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে তবেই আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারবো।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মোসলেহ উদ্দীন বলেন, সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য স্বাধীনতা দিবস আমাদের কর্তব্য সচেতন করে। এ দিনটি আমাদেরকে নতুন প্রেরণায় উজ্জীবিত করে তোলে। আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। এ দিনের কথা ভেবে আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। গ্রামীণ ব্যাংক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিবেদিত একটি প্রতিষ্ঠান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক।
অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের শহিদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য আত্মদানকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়। বিজ্ঞপ্তি