গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য

বেসরকারি খাতের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। এই দিনে ব্যাংকটির বিভিন্ন দিক নিয়ে শেয়ার বিজকে লিখিত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী

শেয়ার বিজ: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সম্পর্কে কিছু বলুন?

ওয়াসেক মো. আলী: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড যাত্রা শুরু করেছে ১৯৯৯ সালের ২৫ অক্টোবর ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক লিমিটেড নামে, যা পরে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়ে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। আপনারা জানেন, দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে ব্যাংক খাত। ব্যাংক খাতের অন্যতম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে সেই অর্থনৈতিক যুদ্ধে আমরাও শামিল রয়েছি অগ্রসর সৈনিকের মতো। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতায় ২০২২ সালেও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড তার অগ্রযাত্রা বরাবরের মতো অব্যাহত রেখেছে।

শেয়ার বিজ: বর্তমানে আপনার ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা কেমন?

ওয়াসেক মো. আলী: মহান আল্লাহর অশেষ রহমত, দক্ষ ও সুযোগ্য নেতৃত্ব, সম্মানিত গ্রাহকদের সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস এবং আপনাদেরসহ সবার সক্রিয় সর্মথন ও সহযোগিতায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বরাবরের মতো অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের ব্যাংকের অর্জন সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে এবং সব কর্মকাণ্ডে মানসম্মত উৎকর্ষসাধনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের প্রতিবেদন অনুযায়ী আমাদের ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং শর্ট টার্মে ‘ঝঞ-২’ এবং লং টার্মে ‘অ+’, যা ব্যাংকের দৃঢ় ভিত্তির অন্যতম পরিচায়ক।

শেয়ার বিজ: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকের কতটা আস্থা অর্জন করেছে?

ওয়াসেক মো. আলী: আলহামদুলিল্লাহ, আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে বর্তমানে আমানত সংগ্রহের দিক থেকে দেশের সব বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। জনগণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসছি নিত্যনতুন আমানত ও বিনিয়োগ প্রকল্প। জনসাধারণের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য সারাদেশে ২০০টি পূণার্ঙ্গ শাখা, ১৫২টি উপশাখা, ৮৪টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দেশব্যাপী ২০৯টি নিজস্ব এটিএম নেটওয়ার্ক নিয়ে তাদের পাশে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ২০২২ সালেও গ্রাহকদের সুবিধার্থে নতুন কিছু ডিপোজিট স্কিম নিয়ে এসেছে, যেমনÑচাকরিজীবীদের জন্য অবসর সময়ের সুরক্ষায় ‘সঞ্চয়ে সুখ’, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মাসিক সঞ্চয় স্কিম ‘মার্চেন্ট’ এবং সীমিত সময়ের জন্য গ্রাহকদের আকর্ষণীয় মুনাফা প্রদানে নিয়ে এসেছে ‘উৎসব’, যা দেশব্যাপী গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

আবার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বিনিয়োগ সুবিধার্থে নতুন কিছু ইনভেস্টমেন্ট স্কিম নিয়ে এসেছে, যেমনÑনারী উদ্যোক্তাদের জন্যে ‘স্বাবলম্বী’, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ‘প্রচেষ্টা’, গ্রামীণ কৃষি জনপদের জন্য ‘সোনালি স্বপ্ন’ এবং ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের অর্থায়নে নিয়ে এসেছে ‘উদ্যমী’। সর্বোপরি দক্ষ মানবসম্পদ ও নানাবিধ সময়োপযোগী সেবা প্রদানের মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে সবসময় বদ্ধপরিকর, যার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস।

শেয়ার বিজ: গ্রাহকসেবা বাড়াতে আপনার ব্যাংক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

ওয়াসেক মো. আলী: আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে ও ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড তার ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মকে আরও সম্প্রসারিত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য গ্রাহকদের জন্য রয়েছে আমাদের সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা। এফএসআইবিএল ‘ক্লাউড অ্যাপ’-এর ফ্রিডম ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহক ঘরে বসেই ই-কেওয়াইসি ফরম পূরণসহ নিজেই নিজের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। এছাড়া আমাদের এই অ্যাপস ব্যবহার করে সব ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা যায়, যেমন ‘নগদ’ ও ‘বিকাশ’-এ ব্যালেন্স ট্রান্সফার এবং ডিপিডিসি, ডেসকো ও ঢাকা ওয়াসা বিল পেমেন্ট করা যায়।

অটোমেটেড চালানের (এ-চালান) মাধ্যমে পাসপোর্টের ফি পরিশোধ, বিআরটিএ ফি পরিশোধ, ট্যাক্স পরিশোধ, ভ্যাট পরিশোধসহ ১৯৬ ধরনের সরকারি চালান ফি প্রদান করা যায়। আমাদের ভিসা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সব ধরনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবার মূল্য পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ওই কার্ডধারীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন।

আমাদের সিআরএম মেশিনের মাধ্যমে গ্রাহকরা একই মেশিনে দ্রুততম সময়ে ক্যাশ জমা ও উত্তোলন করতে পারেন। এছাড়া নানাবিধ সময়োপযোগী সেবা প্রদানের মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড গ্রাহকসেবা নিশ্চিতে সবসময় বদ্ধপরিকর।

শেয়ার বিজ: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের কী অবস্থা? খেলাপি ঋণ আদায়ে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন?

ওয়াসেক মো. আলী: আমরা সবাই অবগত যে, বৈশ্বিক মহামারি কভিড ও তার পরবর্তী প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মুল্যবৃদ্ধি, ডলার সংকট ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ সব বিরূপ পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী ঋণের যথাসময়ে পরিশোধ কার্যক্রমকে বিলম্বিত করছে। বাংলাদেশে আমাদের ব্যাংক খাতও একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকের গ্রস খেলাপি ঋণের পরিমাণ গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

যদিও গত বছর আমাদের ব্যাংককে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী খেলাপি ঋণের প্রবণতা দেখতে হয়েছিল, কিন্তু এখন আমরা খুব গুরুত্বসহ খেলাপি ঋণ ফলো-আপ করছি। এছাড়া খেলাপিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা, ঋণের সময় বৃদ্ধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন আনুযায়ী খেলাপি হওয়ার মেয়াদ দুই বছর থেকে পাঁচ বছরে নির্ধারণসহ নিবিড় মনিটরিং ও রিকভারি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাই আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের এই ধারাবাহিক মনিটরিং ও রিকভারি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অচিরেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।

শেয়ার বিজ: আমদানিরপ্তানি বাণিজ্যের লেনদেন রেমিট্যান্স আহরণে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অবস্থান কেমন?

ওয়াসেক মো. আলী: আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় নিজেদের সম্পৃক্ত করে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ২০২২ সালে ব্যাংকের আমদানি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় পাঁচ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। আমদানি বাণিজ্যের প্রধান খাতগুলো ছিল চিনি, ভোজ্যতেল, মূলধনি যন্ত্রপাতি, তুলা, ফেব্রিকস ও আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদি। অন্যদিকে রপ্তানি বাণিজ্যে সর্বমোট প্রায় দুই হাজার ৩৯৬ কোটি টাকার রপ্তানি দলিল সফলতার সঙ্গে নিষ্পত্তি করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। রপ্তানি বাণিজ্যের প্রধান খাতগুলি ছিল তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, প্রক্রিয়াজাত চামড়ার পণ্য, কৃষিপণ্য প্রভৃতি। আবার ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অন্যতম ব্যাংক হিসেবে আমরা গ্রাহকদের দেশে  বৈধভাবে পরিচালিত প্রায় সব শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রতিষ্ঠান, যেমন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, এক্সপ্রেস মানি, প্লাসিড এনকে করপোরেশন, ট্রান্সফাস্ট, রিয়া মানি ট্রান্সফার, প্রভু মানি ট্রান্সফার প্রভৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন রেমিট্যান্স সেবা প্রদান করে থাকি, যার মাধ্যমে আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনেরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ খুব সহজেই তাদের প্রিয়জনের কাছে পাঠাতে পারেন। এছড়া বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর জন্য সরকার ঘোষিত ২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রয়েছে। ২০২২ সালে আমরা এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৫১১ কোটি টাকা ফরেন রেমিট্যান্স গ্রহণ করেছি।

শেয়ার বিজ: ২৩ বছরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সবচেয়ে বড় অর্জন কী বলে মনে করেন?

ওয়াসেক মো. আলী: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড গুটিগুটি পায়ে যাত্রা শুরু করেছে প্রায় দুই যুগ আগে। এই দীর্ঘ পথচলায় আমি মনে করি আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জনই হচ্ছে আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাস, যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে নিরন্তর পথচলায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। আলহামদুলিল্লাহ সম্মানিত গ্রাহকদের এ আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণœ রাখার ও সৃজনশীল ব্যাংকিং সেবার মানোন্নয়নে আমরাও সদা প্রস্তুত রয়েছি সততা, দক্ষ মানবসম্পদ, কঠোর পরিশ্রম ও শরিয়াহ্ পরিপালনে আপসহীন নীতি নিয়ে। ২৩ বছরের পথযাত্রায় অসংখ্য অর্জনের মধ্যে এই ব্যাংকটিকে দেশের অন্যতম সেরা ইসলামী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি।   

শেয়ার বিজ: বর্তমানে ডলার নিয়ে একটা সংকট তৈরি হয়েছে। এটা কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

ওয়াসেক মো. আলী: বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্ব আজ টালমাটাল। বিশ্বব্যপী তথা বাংলাদেশের ডলার সংকটের পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। মোটাদাগে বলতে গেলে, আমদানি-রপ্তানি ঘাটতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহ সাময়িক কমে যাওয়া প্রভৃতি বর্তমান ডলার সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ। দেশে এখন আমদানির জন্য যে পরিমাণ অর্থ বা ডলার খরচ হচ্ছে, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে তা মিটছে না। ফলে সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

এ সংকট উত্তরণে আমরা নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এরই মধ্যে আমাদের অভিভাবক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের সমর্থনস্বরূপ বিলাসবহুল দ্রব্যের আমদানি ঋণ বহুলাংশে কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবহƒত ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর আমদানি ঋণপত্রের ন্যূনতম মার্জিন ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংকের নির্বাহী ও কর্মকর্তাদের বিদেশ গমনে নিরুৎসাহিত করতে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। প্রবাসী ভাইদের কষ্টার্জিত আয় বৈধ চ্যানেলে পাঠাতে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি লাখে নগদ প্রণোদনা দুই হাজার ৫০০ টাকা প্রদান অব্যাহত রেখেছি এবং দেশব্যাপী বিস্তৃত আমাদের শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে আন্তরিক সেবার মাধ্যমে তা প্রবাসী ভাইদের নিকটাত্মীয়দের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।  

শেয়ার বিজ: দেশের ব্যাংক খাতের অবস্থা সম্পর্কে আপনি কিছু বলেবেন?

ওয়াসেক মো. আলী: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণ হলো ব্যাংক ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থাপনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো প্রত্যক্ষভাবে অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করে। কভিড-পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে পুনরুদ্ধারের জন্যও ব্যাংক খাতের সুসংগঠিত কার্যপ্রস্তুতি প্রয়োজন। আমি আপনাদের এটা জানাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের ব্যাংক সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবসা এবং প্রকৃত অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে এসব স্বার্থের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। ২০২১ সালে সামগ্রিক ব্যাংক খাতের আমানত ও বিনিয়োগে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা এ বছরেও অব্যাহত রয়েছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও শৃঙ্খলিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির দ্বারা ব্যাংকগুলোর গ্রাহক ও সেবা বাড়ানো সহজতর হয়েছে। যদি খেলাপি বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, স্বাভাবিকভাবে ব্যাংক খাতের সব দুরাশা দূর হয়ে যাবে।

শেয়ার বিজসময় দেয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

ওয়াসেক মো. আলী: আপনাকেও ধন্যবাদ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০