নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ওয়াসার গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ১৫ হাজার গ্রাহক সর্বনিম্ন বিল প্রদান করেন। প্রতি এক হাজার লিটার পানি উৎপাদনে যেখানে ওয়াসার খরচ হয় ১৬ টাকা, সেখানে ভর্তুকি দিয়ে সাড়ে ৯ টাকায় গ্রাহক পর্যায়ে পানি বিক্রি করে ওয়াসা। এরপরও গ্রাহকের কাছে চট্টগ্রাম ওয়াসার ৭৫ কোটি টাকা অনাদায়ী পাওনা রয়েছে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ হোটেলে চট্টগ্রাম ওয়াসা আয়োজিত গ্রাহক সমাবেশে সংস্থাটির বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ড. পীযুষ দত্ত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাহক হয়রানি রোধে ওয়াসার সেবা কার্যক্রম পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হয়েছে। ক্যাশ পেমেন্টের পরিবর্তে ব্যাংক পেমেন্ট চালু করা হয়েছে। আগে শুধু জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বিল প্রদান করা যেত। বর্তমানে ১৬ ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিল জমা দিতে পারবেন। এছাড়া গড় বিল বন্ধ করতে ওয়াসার ওয়েবসাইটেও বিল দেওয়া হচ্ছে।
এরপর উš§ুক্ত আলোচনায় গ্রাহকরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনার বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে ৬০০ কিলোমিটার পাইপলাইন পরিবর্তন করা হবে। চট্টগ্রামে পানির চাহিদা রয়েছে ৩৯ কোটি লিটার। আমরা দিতে পারি ১৫ থেকে ১৬ কোটি লিটারের মতো। আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যে মদুনা ঘাট থেকে ৯ কোটি লিটার যোগ হবে। এরপর ওয়াসার পেইজ-২’র কাজ আগামী দুবছরের মধ্যে শেষ হলে পানির আর সমস্যা থাকবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কোনো কিছু না বুঝে সমালোচনা করা ঠিক নয়। সমালোচনা করা যত সহজ, বাস্তবায়ন করা ঠিক ততটা কঠিন। পানি সরবরাহের জন্য ওয়াসা রাস্তা কাটাকাটি করছে। এতে সাময়িক সমস্যা হলেও দীর্ঘদিনের জন্য পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গ্রাহক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম হোসেন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল) রতন কুমার সরকার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) নুরুল আলম চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক নুরুল আবছার, বোর্ড মেম্বার তপন চক্রবর্তী, সোলেমান আলম শেঠ, আবিদা আজাদ, কবীর আহমেদ মানিক প্রমুখ।
গ্রাহকের কাছে চট্টগ্রাম ওয়াসার পাওনা ৭৫ কোটি টাকা
