নিজস্ব প্রতিবেদক: ভুল এইচএস কোড ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রিন টি আমদানিতে টিজে ট্রেডার্স ও রায় ট্রেডার্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম উদ্ঘাটন করেছে শুল্ক মূল্যায়ন ও নিরীক্ষা কমিশনারেট (সিভিএ)। সম্প্রতি এ অনিয়ম উদ্ঘাটন করা হয়।
সিভিএ’র কমিশনার ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রিন টি আমদানিতে অবমূল্যায়নজনিত ব্যাপক অনিয়ম উদ্ঘাটন করেছে সিভিএ। অনিয়ম করা চালান দুটি চট্টগ্রাম ও বেনাপোল কাস্টম হাউজের বিল অব এন্ট্রির। চট্টগ্রামের বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে গত ২৮ জানুয়ারি আমদানিকারক টিজে ট্রেডার্স প্রতি কেজি মাত্র এক দশমিক শূন্য পাঁচ ডলার হিসেবে দুই হাজার ৮২০ কেজি গ্রিন টি ছাড় নিয়েছে। নিরীক্ষায় দেখা যায়, পণ্যটি ফ্লেভার গ্রিন টি এবং এ প্রতিষ্ঠানটি শুল্ককর দিয়েছে মাত্র এক লাখ ৪৭ লাখ টাকা। কিন্তু এসআরও অনুযায়ী ফ্লেভার গ্রিন টির মূল্য ন্যূনতম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি সাত ডলার। কম দাম দেখানোর মাধ্যমে কোম্পানিটির শুল্ক ফাঁকি হয়েছে ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
মইনুল খান বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রায় ট্রেডার্স প্রতি কেজি তিন ডলার হিসেবে এক হাজার ৬২৪ কেজি গ্রিন টি শুল্কায়ন করে খালাস নিয়েছে। আমদানিকারক শুল্ককর পরিশোধ করেছেন দুই লাখ ৩১ হাজার টাকা। কিন্তু এসআরও অনুযায়ী গ্রিন টি’র ন্যূনতম মূল্য হবে প্রতি কেজি ছয় ডলার। সে হিসেবে ফাঁকি হয়েছে দুই লাখ ৩২ হাজার টাকা। উভয় প্রতিষ্ঠান ভুল এইচএস কোড ব্যবহার করেছে।
উল্লেখ্য, গ্রিন টি আমদানিতে মোট শুল্ককর ৫৮ দশমিক ছয় ৯ শতাংশ। উভয় ক্ষেত্রে মোট ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শুল্ককর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এই ফাঁকিকৃত টাকা আদায় করার জন্য সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউসকে অনুরোধ করা হয়েছে এবং দুটি প্রতিষ্ঠান এর আগে গ্রিন টি আমদানির আড়ালে শুল্ককর ফাঁকি দিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গ্রিন টি আমদানিতে অনিয়ম
