Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 11:53 pm

গ্রিসের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

শেয়ার বিজ ডেস্ক : গ্রিসের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি রাজধানী এথেন্সে গ্রিসের লেবার, সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সলিডারিটি মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল আন্দ্রেয়াস নেফালুডিসের সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদারের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে গ্রিসে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কী কী ধরনের কাজের সুযোগ আছে এবং ভবিষ্যতে সেখানে আরও কর্মী নিয়োগ দেওয়া যাবে কি না, এসব বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন আন্দ্রেয়াস নেফালুডিস। গত শনিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নেফালুডিস বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলকে জানান, গ্রিসে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণের বিষয়ে সে দেশের সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা গ্রিক নাগরিকদের মতো বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে ভোগ করে থাকেন বলেও সেক্রেটারি জেনারেল বৈঠকে জানান।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি বাংলাদেশে ৭০টি ট্রেনিং সেন্টারে কর্মীদের বিভিন্ন পেশা, যেমন- গার্মেন্ট, কেয়ার-গিভিং, হাউজ-কিপিং এবং বিভিন্ন ভাষার প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি তাদের জানান। এ বিষয়ে গ্রিক সেক্রেটারি জেনারেল আগ্রহ দেখান। ভবিষ্যতে আইনানুযায়ী সুযোগ সৃষ্টি হলে তিনি বিবেচনা করবেন বলে উল্লেখ করেন।
গ্রিসের পর্যটন, রেস্টুরেন্ট, গার্মেন্ট, কৃষি, কেয়ার-গিভিং ও হাউজকিপিং সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা থাকায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব গ্রিসের সেক্রেটারি জেনারেলকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে চাহিদা অনুসারে দক্ষ কর্মী নেওয়া শুরু হলে এটি গ্রিসের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশও উপকৃত হবে। বর্তমানে সেদেশে কৃষি ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য বৈধভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক নয়।
এছাড়া সচিব দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের এবং মৌসুমি কর্মীদের মেয়াদ ছয় মাসের বদলে দুই বছর করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, শ্রমবাজারে সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি বিভিন্ন দেশে পাঠানো হলে তা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত হতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখবে।