শেয়ার বিজ ডেস্ক: গ্রিস উপকূলে নৌকাডুবিতে ১৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। তুরস্ক থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করা নৌকাটিতে ৮০ যাত্রী ছিলেন। যাত্রাপথে এজিয়ান সাগরে ডুবে যায় নৌকাটি। খবর: এএফপি।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে একই ধরনের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। তখন ৯০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার অন্তত তিনজন মারা যান। তখন ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও সেই নৌকার কয়েক ডজন অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন।
গত বুধবার থেকে এমন তিনটি দুর্ঘটনা ঘটল গ্রিসের জলসীমায়। তবে এ সাগরে চোরকারবারী নেই বললে চলে। যদিও সাম্প্রতিকালের ঘটনায় তিন পাচারকারীদের আটকের কথা জানিয়ে গ্রিস কর্তৃপক্ষ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় উদ্ধারকারী দল। গত শুক্রবার রাতভর পারোস দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা চালায় কর্তৃপক্ষ। ওই এলাকা থেকে তিন নারী, এক শিশু ও ১২ জন পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল গ্রিস কোস্টগার্ড জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় উদ্ধার অভিযানে বিমানসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠানো হয়েছে। ডুবে যাওয়া পাল তোলা নৌকা থেকে ৬২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
অবৈধ উপায়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে গ্রিসকে অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার করে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তবে গত কয়েক বছরে এ পথে আগের তুলনায় প্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কমছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যমতে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে আড়াই হাজার মানুষ মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হন।
২০১৫ সালে প্রায় ১০ লাখ সিরিয়ান উদ্বাস্তু ইইউভুক্ত দেশগুলোয় আশ্রয় নেন। তারা তুরস্কের কাছাকাছি গ্রিসের দ্বীপ হয়ে দেশগুলোয় প্রবেশ করেন।
